|
|
|
|
বড় ম্যাচে না থাকা ভুলতে ছোট ম্যাচে দুরন্ত টোলগে |
কুণাল বসু • কলকাতা |
ইস্টবেঙ্গল-৪ (রবিন, লেন, সৌমিক, টোলগে-পেনাল্টি)
বিএনআর-০ |
ম্যাচ শেষে টোলগে ওজবে যুবভারতীর ড্রেসিংরুম ছাড়ছেন। পিছনে আনন্দে মশগুল লাল-হলুদ জনতা। সঙ্গে চিৎকার ‘টোলগে’ ‘টোলগে’। কোচ ট্রেভর মর্গ্যানও চার বার ওই চিৎকারে গলা মিলিয়ে নিলেন। ক্যাপ্টেনকে কুর্নিশ?
তার আগের নব্বই মিনিট মাঠে রাজত্ব করেছেন মঙ্গলবারের ম্যাচের অধিনায়ক টোলগেই। রবিন সিংহের গোলটি ছাড়া বাকি তিনটিতেই ছাপ রেখেছেন তিনি। এক জন অস্ট্রেলীয় রোভিং ফরোয়ার্ড, অনভ্যাসের কৃত্রিম মাঠ আর অনভিজ্ঞ রক্ষণই রেল দলকে কলকাতা লিগে পর্যুদস্ত করল। সন্দীপ নন্দীকে গোলকিপার খেলালেন মর্গ্যান। আগের দলের থেকে এই একটাই বদল এ দিনের দলে। সন্দীপকে অবশ্য কোনও পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। শুধু শেষের দিকে একদম সামনে থেকে নিশ্চিত গোল বাঁচালেন। বোঝালেন দলকে দেওয়ার এখনও বাকি আছে তাঁর।
উনিশ মিনিটে সৈকতের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে এগিয়ে দিয়েছিলেন রবিন। তার পর মাঠে শুধুই টোলগে। কখনও ডানে। কখনও বামে। কখনও মাঝখানে। মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরি করছেন নিজেই। গোলের পাসও আসছে তাঁর পা থেকে। লেনের গোলের চূড়ান্ত ক্রস রবিন্দরের। তার আগে রবিন্দরের দিকে ছোট্ট লব তুলেছিলেন টোলগে। ডিফেন্ডারকে একেবারে বোকা বানিয়ে। পেনাল্টিটা বিএনআর গোলকিপার গণেশ সিংহের সৌজন্যে। এগিয়ে আসা গণেশকে টপকে গিয়েছিলেন টোলগে। গোলে শট মারার মুখে টোলগেকে আটকাতে ফাউল ছাড়া কিছু করার ছিল না তাঁর। ম্যাচে প্রচুর অফসাইড দিলেন সহকারী রেফারি। যার কয়েকটি নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।
বড় ম্যাচের আগে এই ফর্ম। অথচ মোহনবাগানের বিরুদ্ধেই নেই টোলগে। হা-হুতাশ কি আরও বেড়ে যাচ্ছে? কাঁধ ঝাঁকিয়ে মর্গ্যানের জবাব, “ও তো সে দিন খেলতে পারবেই না। কী আর বলব?” ডার্বি ম্যাচের আগে ৪-০ জয়কেও বড় করে দেখতে নারাজ তিনি। “আই লিগ আর কলকাতা লিগের কোনও তুলনা হয় না। এখানে রিজার্ভ বেঞ্চ ঝালিয়ে নেওয়া যাচ্ছে। এটাই প্রাপ্তি।”
যদিও ৪-০ জয় আরও বেশি তাতিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। রিজার্ভ বেঞ্চে আস্থা বাড়াল মর্গ্যানের। অপেক্ষা রবিবারের বড় ম্যাচ।
ইস্টবেঙ্গল: সন্দীপ, সৈকত, সুনীল, গুরবিন্দর, সৌমিক, চরণ (পেন), সুবোধ, রবিন্দর (সৌরভ), লেন, টোলগে, রবিন (বুধি)।
|
বুধবার
ভারত: মালয়েশিয়া (যুবভারতী, ৬-৩০) |
|
|
|
|
|