ডিক্লেয়ার দিতে আমিই বলেছিলাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ইডেন তাঁকে কোনও দিন খালি হাতে ফেরায় না। মঙ্গলবারের সকালও তার ব্যতিক্রম নয়। এ দিনেরটা ধরলে ইডেনে পাঁচ নম্বর সেঞ্চুরি হয়ে গেল। ছুঁয়ে ফেললেন ‘ইডেনের বাদশা’ মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে। গড়ে তো ছাপিয়েই গেলেন। বরাবরের বিনয়ী ও মিতভাষী। নিজেই জানাচ্ছেন, তাঁর ডাবল সেঞ্চুরির চেয়ে অনেক বেশি জরুরি দলের জয়। ইডেনে ম্যাচ শেষে মঙ্গলবার ভিভিএস লক্ষ্মণ যা বললেন, তুলে দেওয়া হল: |
প্রশ্ন: আর একটা ডাবল সেঞ্চুরি হল না বলে আফসোস হচ্ছে না? মাত্র ২৪ রান তো বাকি ছিল। আর কয়েকটা ওভার পেলেই...
লক্ষ্মণ: না না। আমিই তো টিম ম্যানেজমেন্টকে বলি ডিক্লেয়ার করার জন্য। আসলে তখন আলো কমে আসছিল। বিশেষ করে ধোনি আউট হওয়ার পরে। আমরা চেয়েছিলাম ওদের আজ ২০ ওভার বল করব। ঠিক ছিল চা-বিরতির পর ছ’ওভার ব্যাট করব। কিন্তু তিন ওভার হতে না হতেই আলো কমে আসে। তাই আমি ড্রেসিংরুমে বার্তা পাঠাই আলো কমছে এবং এখনই ডিক্লেয়ার করা দরকার।
প্র: ইডেন তো কোনও দিনই আপনাকে ফেরায় না। এই নিয়ে পাঁচটা সেঞ্চুরি। ২৮১-র সময় দশ বছর আগে মাঠে প্রায় লাখখানেক দর্শক ছিল। আর এ বার ফাঁকা। খারাপ লাগল না?
লক্ষ্মণ: একটু তো অবাক হয়েইছি। ইডেনে এত ফাঁকা গ্যালারি আগে কখনও দেখিনি। সেই ছিয়ানব্বই সাল থেকে ইডেনে খেলছি। বরাবরই এই মাঠ আমার কাছে পয়া। সব সময় এই মাঠ ভীষণ প্রাণবন্ত থাকে। ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি, ইডেনে খেলা সব সময়ই বিশেষ অনুভূতি এনে দেয়। আজকের সেঞ্চুরিটা তৃপ্তি দিচ্ছে। বেশ কিছু ইনিংস পরে সেঞ্চুরি পেলাম। অনেক দিন পরে, যখন টিম চাপে নেই।
|
|
প্র: কঠিন পরিস্থিতিতেই তো আপনি ভিভিএস। ভেরি ভেরি স্পেশ্যাল। তাই তো আমরা দেখে আসছি...।
লক্ষ্মণ: ওই চ্যালেঞ্জটা নিতে ভাল লাগে। উপভোগ করি। সে জন্য আমি প্যাডি আপটনের কথা বলব। গ্যারির জমানায় ও আমাদের মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ ছিল। কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলায় কী করব না করব, তা নিয়ে ওর সঙ্গে কাজ করেছি। বিশেষ করে কী করে আপনি আপনার সেরাটা বার করতে পারেন যখন টিম ভাল জায়গায় নেই।
প্র: সচিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের আজ ২২ বছর হচ্ছে...।
লক্ষ্মণ: নিশ্চয়ই। আমি গর্বিত যে, এত বছর ওকে কাছ থেকে দেখেছি। ওর সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছি। এত বড় ক্রিকেটারের সান্নিধ্য পাওয়া সৌভাগ্যের কথা। আশা করব আরও বেশ কিছু দিন ও আমাদের আনন্দ দেবে।
প্র: আপনি তো দ্রাবিড়-সচিনের মতো ধ্রুপদী ব্যাটদের সঙ্গে খেলতে অভ্যস্ত। ধোনির মতো ফ্ল্যামবয়েন্ট ক্রিকেটারের সঙ্গে টেস্টে লম্বা জুটি বাঁধতে কেমন লাগে?
লক্ষ্মণ: ও তো ছয় মারলেও বলে ব্যাটে ঠিকঠাক লাগল না। অথচ বলটা উড়ে গিয়ে পড়ে গ্যালারিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ২০১০-এর টেস্টেও এই মাঠে ও আর আমি সেঞ্চুরি করেছিলাম। সে বারও একই অভিজ্ঞতা।
প্র: এই টেস্টে তা হলে ২-০ হচ্ছে?
লক্ষ্মণ: হওয়া তো উচিত। কাল থেকে বল ঘোরা উচিত। ব্যাটিং উইকেট এখনও। কিন্তু পরের দিকে উইকেট ভাঙবে। তখন আমাদের স্পিনাররা কাজে আসবে। |
ডন-গ্যারির সঙ্গে লক্ষ্মণ |
টেস্টে একটি মাঠে সেরা ব্যাটিং গড় |
ডন ব্র্যাডম্যান |
মেলবোর্ন |
১১ ম্যাচ |
১৬৭১ রান |
গড় ১২৮.৫৩ |
গ্রেগ চ্যাপেল |
ব্রিসবেন |
৭ ম্যাচ |
১০০৬ রান |
গড় ১১১.৭৭ |
ভিভিএস লক্ষ্মণ |
ইডেন |
১০ ম্যাচ |
১২১৭ রান |
গড় ১১০.৬৩ |
গ্যারি সোবার্স |
সাবাইনা পার্ক |
১১ ম্যাচ |
১৩৫৪ রান |
গড় ১০৪.১৫ |
|
|
|