সিঙ্গুর-মামলার রায় দিতে গিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি বিধানসভার এক্তিয়ারে হাত দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে অভিযোগ করলেন টাটা মোটরসের আইনজীবী।
বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় তাঁর রায়ে কী ভাবে বিধানসভার ‘এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ’ করেছেন, এ দিন তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে টাটা মোটরসের আইনজীবী সমরাদিত্য পাল বলেন, কে কী করতে পারে, সংবিধান তা বেঁধে দিয়েছে। লোকসভা বা বিধানসভা আইন তৈরি করবে। আদালত তা ব্যাখ্যা করবে। সমরাদিত্যবাবুর কথায়, “আদালত যদি বিধানসভার ভুমিকা পালন করে, তা হলে তা বিপজ্জনক হবে। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় তাঁর রায়ে ঠিক করে দিয়েছেন, টাটারা কী ভাবে ক্ষতিপূরণ পাবে! এটা আদালত বলতে পারে না। কারণ, সংশ্লিষ্ট আইন তৈরি করেছে বিধানসভা।”
টাটা মোটরসের আইনজীবী এ দিন সওয়ালে বলেন, “বিধানসভা বা লোকসভা ক্ষতিপূরণের নীতি ঠিক করবে। বিধানসভা নতুন আইনে সেই নীতি স্থির করল না। বিধানসভার দায়িত্ব নিয়ে নিল আদালত! এ হতে পারে না।” লোকসভা বা বিধানসভার যা এক্তিয়ার, তা নিয়ে কোনও নীতি আদালত কখনও তৈরি করে দিতে পারে না বলে দাবি করেন তিনি।
সমরাদিত্যবাবু সওয়ালে বলেন, “টাটা মোটরসের কথা ছেড়েই দিন। সামান্য এক জন কৃযকের জমি নেওয়ার ক্ষেত্রেও জানাতে হয়, সরকারের ক্ষতিপূরণের নীতিটা ঠিক কী। কোনও ব্যক্তিকেই তাঁর মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। টাটাদের জমি নিয়ে নেওয়া হল। অথচ তারা জানে না, কী নিয়মে কত ক্ষতিপূরণ পাবে!” তাঁর অভিযোগ, “এখানে জমি নিয়ে নেওয়া হল, অথচ ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে ঘোষণা হল না। টাটাদের বঞ্চিত করা হল।”
টাটা মোটরসের আইনজীবীর দাবি, বিধানসভায় পাশ হওয়া আইনটি যে অসম্পূর্ণ, হাইকোর্ট তা অনুভব করেছে। “তার পরেও বিধানসভার দায়িত্ব হাইকোর্ট নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে।” বলেন তিনি। |