সোমবার রাতে হাওড়ার আমতায় একটি গহনার দোকানে ডাকাতি হয়। দুষ্কৃতীরা দোকানের দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। গয়না রাখার লোহার আলমারি তুলে নিয়ে চলে যায় তারা। এই ঘটনায় স্থানীয় গয়নার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁদের বক্তব্য, গত এক বছরে এলাকায় অন্তত চারটি চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ একটিরও কিনারা করতে পারেনি। দুষ্কৃতীদের ধরার দাবিতে ব্যবসায়ীরা থানায় স্মারকলিপি দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাত ৮ টা নাগাদ নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন গয়নার ব্যবসায়ী অসিত সাউ। মঙ্গলবার সকালে এসে দেখেন দোকানের লোহার দরজার তালা ভাঙা। |
পুলিশ এলে দেখা যায় দোকানের ভিতরে কার্যত লণ্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীর দাবি, একটি শো-কেসে রূপোর গহনা ছিল। সেটি ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। খুলে নেওয়া হয়েছে ইলেকট্রিক পাখা। তিন ফুট উচ্চতার লোহার আলমারি ছিল। সেটিকে তুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তার ভিতরে সোনার গয়না ছিল বলে ব্যবসায়ী পুলিশকে জানিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ছোট গাড়ি এনেছিল দুষ্কৃতীরা। তাতে আলমারি তুলে নিয়ে পালিয়েছে। অসিতবাবু বলেন, “আলমারিটি যথেষ্ট ভারি। এটাও যে দুষ্কৃতীরা নিয়ে যাবে, ভাবতে পারছি না।” বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির আমতা শাখার সম্পাদক শঙ্কর সাহা বলেন, “কয়েক মাস আগে দুষ্কৃতীরা একটি দোকানে আলমারি গ্যাসকাটার দিয়ে কেটে গয়না নিয়ে পালায়। তারপরেও আরও কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। তার পরে সোমবার রাতে থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে দোকান থেকে আলমারিটিই তুলে নিয়ে চলে গেল দুষ্কৃতীরা। আমতায় শ’দুয়েক গয়নার দোকান আছে। আমরা আতঙ্কে ভুগছি।” দুষ্কৃতীদের ধরার দাবিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় স্মারকলিপি দেয় সমিতি। উলুবেড়িয়ার এসডিপিও তন্ময় সরকার বলেন, “দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য তল্লাশি চলছে।” |