হুগলি
জেলাস্তরে কাজের সমন্বয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ মানসের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রদর্শিত পথেই হাঁটছেন মন্ত্রী মানস ভুইঁঞা।
তাঁর দফতরের কাজে সমন্বয় সাধনের জন্য হুগলিতে তিনটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মানসবাবু। সেচ ছাড়াও ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, বস্ত্রের মতো কয়েকটি মন্ত্রক আছে তাঁর হাতে। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের নিয়ে চুঁচুড়ায় সার্কিট হাউসে দিনভর বৈঠক করেন মানসবাবু। সেখানেই কমিটি তৈরির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে প্রশাসন সূত্রের খবর। তারপর কাজ শুরু করবে কমিটিগুলি। মানসবাবু বলেন, “সারা রাজ্যেই সরকারি কাজের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। হুগলিতেও সরকারি কাজের ক্ষেত্রে সেই বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।”
সার্কিট হাউসে মন্ত্রীর সঙ্গে জেলা পরিষদের সভাধিপতি
প্রদীপ সাহা ও জেলাশাসক শ্রীপ্রিয়া রঙ্গরাজন। ছবি: তাপস ঘোষ।
জেলায় সেচ দফতরের কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা, তা দেখভালের জন্য একটি মনিটারিং কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ওই কমিটির সদস্য হিসেবে দফতরের বিভাগীয় অফিসার, জেলা প্রশাসনের কর্তারা বাদেও বিধায়কদের যুক্ত করা হয়েছে। ১৫ দিন অন্তর কমিটি কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসবে। তারপর সেই বৈঠকের রিপোর্ট মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাঁধ নির্মাণ, মেরামত এবং নদী খনন ও সংস্কারের কাজ একশো দিনের কাজের মাধ্যমে করার নির্দেশ দিয়েছেন সেচমন্ত্রী। ঘিয়া-কুন্তি বেসিন বা ডাকাতিয়া খাল সংস্কারের কাজের জন্য একশো দিনের প্রকল্পকেই হাতিয়ার করার নির্দেশ দেন তিনি।
একমাত্র বলাগড়ে গঙ্গার নদীর ভাঙনের কাজে মন্ত্রী জেলার সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়রকে একটি ‘মাস্টার প্ল্যান’ তৈরি করে পনেরো দিনের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন। বলাগড় ব্লকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙনের সমস্যা রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রতি বছর সেখানে প্রচুর ঘরবাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। ওই এলাকার মানুষজন বার বার আবেদন করেও ভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদী কাজ হয়নি।
হুগলিতে ক্ষুদ্র শিল্পের কাজ সুষ্ঠ ভাবে করার জন্য এ দিন জেলাশাসক এবং বিধায়কদের রেখে একটি ভিন্ন কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। জেলায় ক্ষুদ্রশিল্পের কাজ যাতে কোনও ভাবে বিঘ্নিত না হয়, তা দেখবে ওই কমিটি। ক্ষুদ্রশিল্পের হালহকিকত সম্বন্ধে স্থানীয় বিধায়কদের অবহিত করা হবে। ওই কমিটিও পনেরো দিন অন্তর বৈঠকে বসে কাজের পর্যালোচনা করে তার রির্পোট মন্ত্রীকে পাঠাবে।
মন্ত্রী বলেন, “ধনেখালির তাঁতের খ্যাতি জগৎজাড়া। কিন্তু বর্তমানে সেখানকার তাঁতিরা খুব ভাল অবস্থায় নেই। ধনেখালিকে তাঁর গরিমা ফিরিয়ে দিতে মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুয়ায়ী সেখানে একটি মেগা টেক্সস্টাইল হাব তৈরি করা হবে।” একই সঙ্গে জেলার খাদি ও হ্যান্ডলুম শিল্পের কাজ দেখভালের জন্য একটি পৃথক মনিটারিং কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ওই কমিটিতে অন্য কমিটিগুলির মত স্থানীয় বিধায়কদের যুক্ত করে কাজ করা হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.