|
|
|
|
জামিন মেলে না কেন, তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
প্রভাবশালী অভিযুক্তদের জামিনে মুক্তি পাওয়া শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই আইনজীবী এই অভিযোগ করার পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সম্প্রতি টু-জি কেলেঙ্কারি মামলায় বার বার আবেদন করেও জামিন পাননি ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি সহ অনেক অভিযুক্ত। আরও বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর মামলার অভিযুক্তরাও জামিন না পেয়ে জেলে রয়েছেন। মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়ার সহযোগী অশোক কুমার সিনহার হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী রঞ্জিত কুমার। তিনি দাবি করেন, আগে জামিন পাওয়াটাই ছিল সাধারণ নিয়ম। আর জেলে পাঠানো ছিল ব্যতিক্রম। কিন্তু, এখন সেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। অভিযুক্তদেরও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। কিন্তু সেই মৌলিক অধিকারের কোনও রকম তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
রঞ্জিত কুমার জানিয়েছেন, অশোক কুমার সিনহা জেলে রয়েছেন দু’বছর। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে তা প্রমাণিত হলে তাঁর তিন থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। পাঁচ থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে এমন মামলায় জামিনে মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত নিয়ম দায়রা আদালতের বিচারকরা অনেক ক্ষেত্রেই মানছেন না।
কিন্তু, এই ঘটনা ঘটছে কেন? রঞ্জিত কুমারের দাবি, সংবাদমাধ্যমই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মামলায় আদালত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই তারা অনেক বিষয়ে মত প্রচার করতে শুরু করে। বিচারকরা অনেক সময়ে সংবাদমাধ্যম নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
রঞ্জিত কুমারকে সমর্থন করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগিও। বিচারপতি আলতামাস কবীর, বিচারপতি এস এস নিজ্জর ও বিচারপতি জে চেলামেশ্বরের বেঞ্চ জানিয়েছে, সম্প্রতি শুল্ক আইনে গ্রেফতারি নিয়ে কিছু নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। এই বিষয়েও সেই ধরনের নিয়ম তৈরির কথা ভাবা যেতে পারে। জানুয়ারি মাসে ফের এই মামলার শুনানি হবে। |
|
|
|
|
|