|
|
|
|
নয়া রাজ্যের দাবিদারদের নিয়ে গড়া হচ্ছে যৌথ মঞ্চ |
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • উদালগুড়ি |
নতুন রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনকারী ২২টি মঞ্চকে এক ছাতার তলায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে তেলেঙ্গানা যৌথ সংগ্রাম মঞ্চ। আজ পৃথক বড়োল্যান্ডের দাবিতে সরব এনডিএফবি-র সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়ালেন তেলেঙ্গালা যৌথ সংগ্রাম মঞ্চের আহ্বায়ক গালি বিনোদকুমার এবং অন্ধ্রের ‘পিপল্স ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিস’-এর সভাপতি জয়া বিমদাল্লো। তাঁরা ঘোষণা করলেন, আর একলা লড়াই নয়। সবাই সবার পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই চালাবেন। প্রয়োজনে সর্বভারতীয় যৌথ মঞ্চের তরফে রাজনৈতিক দল গড়ে নির্বাচনে লড়ার কথাও তাঁরা ভাববেন।
যে তেলেঙ্গানা আন্দোলনকে সামনে রেখে বড়োরা নিজেদের অধিকার আদায় করতে চাইছেন, সেই তেলেঙ্গানা যৌথ সংগ্রাম মঞ্চের নেতা-নেত্রীরা জানালেন, তেলেঙ্গানা পেলেও, বড়োল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন চালাবেন তাঁরা। জয়া জানান, কেবল বড়োই নয়, সিদ্ধান্ত হয়েছে: কামতাপুরি, কোচ-রাজবংশী, ডিমাসা-সহ, গোটা উত্তর-পূর্ব ও সমগ্র ভারতের ২২টি নব রাজ্যকামী আন্দোলনকে এক ছাতার তলায় আনা হবে। তেলেঙ্গানার প্রতিনিধিরা বড়োদের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করে বলেন, “এনডিএ হোক বা ইউপিএ— কোনও সরকারই ভূমিপুত্রদের অধিকারের প্রতি সহানুভূতিশীল নয়। শীতকালীন অধিবেশনেই কেন্দ্রের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে যাবে। তারপরেই জাতীয় সংগ্রাম মঞ্চ গড়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মঞ্চের রাজনৈতিক জোট নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবে।” জয়ার মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়ললিতা বা তরুণ গগৈ, পৃথক রাজ্যের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল নন কেউই। তবে মায়াবতী তাঁদের সমর্থন করছেন। গালির বক্তব্য, “মাও সমস্যা ও নয়া রাজ্যের জন্য আন্দোলনের উৎস একটাই। অপশাসন ও অনুন্নয়ন। ভূমিপুত্র ও উপজাতিদের হাতে ক্ষমতা দিলেই উন্নয়ন হবে, সন্ত্রাসের সমস্যাও মিটে যাবে।”
এদিন, আবসু, ইউপিডিএফ, এনডিএফবি এক অনুষ্ঠানে হাজির থেকে, বড়োল্যান্ড আদায়ে জোটবদ্ধ হল। প্রকাশ্যে চলে এল পুরোনো ‘বন্ধু’ আলফা ও এনডিএফবির এখনকার কাজিয়া। গত কাল উদালগুড়িতে আম জনতার দরবারে হাজির হন এনডিএফবির সভাপতি ধীরেন বড়ো, সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ বসুমাতারি। কেন্দ্রের ‘আলফা তোষণে’ রুষ্ট বড়ো জঙ্গি নেতারা অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করতে রাজি নন। বড়ো জঙ্গিদের মতে, বড়োল্যান্ড আদায়ের প্রধান অন্তরায় দু’জন। আলফা সভাপতি অরবিন্দ রাজখোয়া ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।
আলফা প্রসঙ্গে গোবিন্দ বসুমাতারি বলেন, “১৯৯৮ সালে, বাংলাদেশে রঞ্জন দইমারির বাড়িতে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন আলফার রাজখোয়া, পরেশ বরুয়া, শশধর চৌধুরী। সেদিন রাজখোয়ারা বলেছিলেন, অসম ভাগ করে বড়োল্যান্ড গঠনে তাঁদের আপত্তি নেই।
অসম ও বড়োল্যান্ডের এলাকা ভাগের মানচিত্রও বানানো হয়েছিল। এখন রাজখোয়ারা বলছেন, অসম ভাগ করতে দেবেন না।” আবসু সভাপতি প্রমোদ বড়ো বলেন, “মণিপুরে যেভাবে, ৯২ দিন অর্থনৈতিক অবরোধ চালিয়ে সদর হিল দাবি কমিটি নতুন জেলা ছিনিয়ে নিয়েছে, বড়োল্যান্ডের দাবি না মানলে আমরাও ওই পথেই হাঁটব।” |
|
|
|
|
|