|
|
|
|
বিকল্প নেই, তাই আপাতত টিকে যাচ্ছেন গহলৌত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ঠিক যে কারণে উত্তরাখণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী বদল করল বিজেপি, ঠিক সেই কারণেই রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অশোক গহলৌতকে সরাতে চাইছেন কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ। কিন্তু প্রশ্ন হল, সেই দাবি কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হবে কি না। এআইসিসি শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, গহলৌতের বিকল্প বেছে নেওয়া এখনই সম্ভব নয়। বরং তাঁকে আর একটা সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আজ গহলৌত তাঁর সব মন্ত্রীর কাছ থেকে পদত্যাগপত্র চেয়ে নিয়ে দিল্লি এসে পৌঁছেছেন। লক্ষ্য, এটা প্রমাণ করা যে তাঁর উপর মন্ত্রীদের আস্থা অটুট। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভায় আমূল রদবদল করে একটা ঝাঁকুনি দেওয়া। যাতে ক্ষত মেরামত করা সম্ভব হয়।
প্রথমে ভরতপুরে সাম্প্রদায়িক হিংসা ও পরে মন্ত্রিসভার সদস্য মহিপাল মাদেরনার সিডি-কাণ্ড নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গহলৌত। মাদেরনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভাঁওরী দেবী নামে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলা ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ। গহলৌতের ছেলের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়াল বলেন, “হাইকম্যান্ডের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কয়েক বার বৈঠক করেছেন। হাইকম্যান্ডের পরামর্শেই আজ সব মন্ত্রী পদত্যাগপত্র পেশ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, গহলৌতের নেতৃত্বে তাঁদের আস্থা আছে।”
কিন্তু রাহুল গহলৌতের সঙ্গে দেখা না করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করেছেন বলে কংগ্রেস মহলের জল্পনা। ধারিওয়াল অবশ্য বলেন, “রাহুল না চাইলে কি কোনও কংগ্রেস নেতা মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন?” দীর্ঘদিন ধরেই রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সি পি জোশী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালীনই তাঁর সেই চেষ্টার সূত্রপাত। গহলৌতকে যাতে তিনি বেশি বিরক্ত করতে না পারেন সে জন্য তাঁকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করে সরিয়ে এনেছিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এখন জোশী ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তা ছাড়া, আলওয়ারের নেতা জিতেন্দ্র সিংহও মুখ্যমন্ত্রী হতে চান। তবে কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রে খবর, গহলৌতের বিকল্প নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারায় তাঁকেই শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। গহলৌত তার কতটা সদ্ব্যবহার করতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সুতরাং বিকল্পের সন্ধান চলবে। এক শীর্ষ নেতার কথায়, গত লোকসভা ভোটে এই রাজ্যে দল ভাল ফল করেছিল। কিন্তু এখন অন্ধ্রের মতো রাজস্থানও হাতছাড়া হওয়ার পরিস্থিতি। ফলে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করা উচিত নয়। |
|
|
|
|
|