তাদের প্রার্থীদের ছাত্র নির্বাচনে দাঁড়াতে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপার এবং কিছু শিক্ষককে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখল ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (ডিএসএ)। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বেলা ১টায় শুরু হয়ে ঘেরাও চলে প্রায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। তার পরে পুলিশ গিয়ে আটক চিকিৎসকদের বার করে আনে। দাবি পূরণ না-হলে লাগাতার ধর্না, ঘেরাও কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে ডিএসএ।
মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র নির্বাচন আগামী ২৫ নভেম্বর। তার জন্য প্রাথমিক প্রার্থী-তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তালিকা চূড়ান্ত করার সময় তার থেকে ডিএসএ-র ১৮ জনের নাম বাদ দিয়ে দেয় কলেজের বিশেষ কমিটি। তা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ভোটে দাঁড়াতে দেওয়ার দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষ উৎপল দত্তের কাছে ডেপুটেশন দিতে যান ডিএসএ-র সমর্থক পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষ স্মারকলিপি নিতে না-চাইলে ছাত্রদের সেঙ্গে এক প্রস্ত কথা কাটাকাটিও হয়। তার পরেই অধ্যক্ষের ঘরের সামনে স্লোগান ও ঘেরাও শুরু করে দেন বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীরা। অধ্যক্ষ ছাড়াও ঘরের মধ্যে আটকে পড়েন সুপার সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী এবং অন্য কয়েক জন চিকিৎসকও। সুপার বলেন, “অনৈতিক দাবিতে ওরা ঘেরাও চালায়। আমাদের জল বা খাবার খেতেও বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। বিকেল গড়ানোর পরে অনেকেই অসুস্থ বোধ করেন।” মেডিক্যাল-কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্বাস্থ্যসচিব বিষয়টি পুলিশকে জানান। তার পরে আরও পুলিশবাহিনী পাঠানো হয়।
অধ্যক্ষ উৎপলবাবু বলেন, “নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে বিধি ভঙ্গকারীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন।” তবে ডিএসএ-র অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের প্রতিনিধিদের দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির পরিপন্থী। |