গৃহকর্ত্রীকে বেহুঁশ করে ফ্ল্যাটে চুরি |
এক বহুতলের ফ্ল্যাটে সাতসকালে হানা দিয়ে টাকা ও সোনার গয়না চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার, বেহালার মহাবীরতলার ক্যানাল রোডে। পুলিশ জানায়, যে ফ্ল্যাটে চুরি হয়েছে সেটি একতলায়। অলোক বন্দ্যোপাধ্যায় নামে কলকাতা পুরসভার এক ঠিকাদার ফ্ল্যাটটির মালিক। সওয়া ৬টা নাগাদ অলোকবাবু ছেলেকে স্কুলে পৌঁছতে যান। সঙ্গে ছিল তাঁর মেয়েও। অলোকবাবু বেরোনোর পরে দরজা খোলা রেখে তাঁর স্ত্রী শম্পাদেবী বাথরুমে যান। পরিচারিকা আসবে বলে দরজা খোলা রেখেছিলেন বলে শম্পাদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন। পুলিশের সন্দেহ, সেই সুযোগে চুরি হয়। তবে অলোকবাবুর দাবি, স্ত্রী তাঁকে জানান, সাতটা নাগাদ কলিং বেল শুনে দরজা খুলেও কাউকে দেখেননি। কিছুক্ষণ পরেই দরজার সামনে কালো ধোঁয়া দেখেন। ধোঁয়ার ঝাঁঝে তিনি জ্ঞান হারান। শম্পাদেবীর আরও দাবি, জ্ঞান হারানোর আগে তিনি আবছা কাউকে দেখেন। তার এক কানে দুল ছিল। এ ছাড়াও, তিনি কাউকে বলতে শোনেন, ‘তুই আগে ভিতরে ঢোক’। পুলিশের বক্তব্য, অজ্ঞান করার জন্য দুষ্কৃতীরা ক্লোরোফর্ম জাতীয় কোনও রাসায়নিক যদি স্প্রে করে, তা হলে তার গন্ধ বেশিক্ষণ থাকবে। আশপাশের লোকজনও সেই গন্ধ পাবেন। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে প্রতিবেশী বা বহুতলের অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা তা জানাননি। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, শম্পাদেবী তাদের কাছে জ্ঞান হারানোর কথা বা কাউকে দেখতে পাওয়ার কথা জানাননি। পুুূলিশের সন্দেহ, চুরির ঘটনায় স্থানীয় দুষ্কৃতীরা জড়িত। অলোকবাবু সকালে কখন বেরোন, সেই খবর ছিল দুষ্কৃতীদের কাছে। তারা অলোকবাবুর ছেলেকে স্কুলে পৌঁছতে যাওয়া এবং পরিচারিকার কাজে আসার মাঝের সময়টা চুরির জন্য বেছে নেয়।
|
কলকাতা পুরসভার গার্ডেনরিচ জল উৎপাদন কেন্দ্রের জমিতেই মহেশতলা পুরসভার ২ কোটি গ্যালন জলপ্রকল্প হবে। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, মহেশতলা পুরসভা জমির সংস্থান করতে না পারায় প্রায় আড়াই বছর আটকে ছিল প্রকল্পটি। পরিস্থিতি বিচার করে কলকাতা পুরসভা ওই প্রস্তাব দেয়। এতে উভয় পুরসভাই উপকৃত হবে। এখন গার্ডেনরিচ থেকে দৈনিক ৮০ লক্ষ গ্যালন জল দিতে হয় মহেশতলাকে। প্রকল্প রূপায়িত হলে ওই জল সরবরাহ করা যাবে কলকাতা পুরসভা এলাকায়।
|
এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম ঋত্বিক করণ ওরফে শক্তি। তার বাড়ি দত্তাবাদে। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, সোমবার রাতে মত্ত অবস্থায় ওই যুবক ওই মহিলার ঘরে ঢুকে প্রথমে তাঁর মুখ চেপে ধরে। তার পরে তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। প্রতিবেশীরা বাধা দেওয়ায় সে পালায়। মঙ্গলবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
|
মহাকরণ থেকে ফেরার পথে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ নন্দনে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের স্নায়ুকেন্দ্র নন্দনের চত্বরে তখন প্রচুর মানুষের ভিড়। ভিতরে চলছে সিনেমা। উপস্থিত দেশি-বিদেশি পরিচালক, অতিথি-অভ্যাগত-প্রতিনিধি-সহ অনেকে। মমতা যখন পৌঁছন তার একটু আগেই শেষ হয়েছে কেতন মেটার ছবি ‘রঙ্গ রসিয়া।’ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় কেতনের। উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রঞ্জিত মল্লিকের সঙ্গে তাঁর ঘরে বসে হরনাথ চক্রবর্তী ও অন্য কয়েক জনের সঙ্গে চা খান মমতা। কিন্তু দর্শকদের যাতে অসুবিধা না-হয় সে জন্য তিনি প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে ঢুকতে চাননি। মিনিট কুড়ি নন্দনে কাটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দৃশ্যতই ‘তৃপ্ত’ মুখ্যমন্ত্রী বলে যান, “চলচ্চিত্র উৎসবকে জনতার উৎসব করে তুলতে চেয়েছিলাম। সাধারণের অংশগ্রহণে লক্ষ্য সফল।”
|
নন্দন চত্বরেই স্লোগান, ধৃত ৫ |
চলচ্চিত্র উৎসব চলছে। তার মধ্যেই নন্দন-চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন পাঁচ ছাত্র। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। জঙ্গলমহলে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া এক ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। পুলিশ জানায়, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে আচমকা বিক্ষোভকারীরা নন্দনের সামনে পৌঁছে যান। তাঁরা দেওয়ালে পোস্টার লাগানোরও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রদের মধ্যে চার জন বেলেঘাটার বাসিন্দা এবং এক জন থাকেন যাদবপুরে।
|
প্রেসিডেন্সিতে উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ ছাত্রদের |
বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ছাত্রদের যুক্ত করার দাবিতে মঙ্গলবার উপাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন প্রেসিডেন্সির আইসি-সমর্থক এক দল পড়ুয়া। প্রেসিডেন্সি ছাড়া রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আইন পরিবর্তনের জন্য অর্ডিন্যান্স জারি করেছে রাজ্য সরকার। প্রেসিডেন্সির জন্য অর্ডিন্যান্স বেরোবে মাসখানেকের মধ্যে। তবে ইতিমধ্যেই যে-অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সঙ্গে ছাত্র, শিক্ষাকর্মীদের যুক্ত করা হয়নি। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বামপন্থী শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ছাত্র সংগঠনগুলি। প্রেসিডেন্সির বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের দাবি, এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে ছাত্র ও শিক্ষাকর্মীদের যুক্ত করতে হবে। এই দাবিতে উপাচার্য মালবিকা সরকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের তরফে বিবস্বান বসু বলেন, “প্রেসিডেন্সিকে বিশ্ববিদ্যালয় করার পিছনে ছাত্রছাত্রীদের সদর্থক ভূমিকা ছিল। তাই এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রেও তাঁদের যুক্ত করতে হবে।” উপাচার্য বলেন, “পড়ুয়াদের স্মারকলিপি পেয়েছি। তবে অর্ডিন্যান্স তৈরিতে উপাচার্যের কোনও ভূমিকা নেই। উচ্চশিক্ষা দফতরকে বিষয়টি জানাব।” |