আবার ১৭ হাজারের নীচে নেমে গেল সেনসেক্স। মঙ্গলবার দিনের শেষে ২৩৬ পয়েন্ট পড়ে তা থামল ১৬,৮৮২.৬৭ অঙ্কে। গত তিন সপ্তাহের মধ্যে যা সব থেকে কম। এ দিন লেনদেনের পুরো সময় ধরেই বাজার ছিল অস্থির। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের সংস্থাগুলির দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফল আশানুরূপ না-হওয়া, সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি আরও বাড়ার দরুন দুশ্চিন্তা, তলানিতে ঠেকা শিল্প বৃদ্ধির হার এবং আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতাই এর মূল কারণ।
এ দিন বাজার প্রধানত পড়েছে গাড়ি, উৎপাদন শিল্পে ব্যবহৃত পণ্য এবং নির্মাণ সংস্থার শেয়ার দরে পতনের হাত ধরেই। যার জন্য দায়ী মূলত সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার। কারণ, শেয়ার বাজার সূত্রের দাবি, সামান্য হলেও মূল্যবৃদ্ধির হার এখনও বৃদ্ধি পাওয়ায় (৯.৭৩%) ফের সিঁদুরে মেঘের মতো দেখা দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ বাড়ানোর আশঙ্কা। আর সুদ বাড়ার জের সব থেকে বেশি পড়ে ওই তিন ক্ষেত্রেই।
পাশাপাশি, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তাদের লোকসান আগের বছরের একই সময়ের থেকে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানিয়েছে আর্থিক সঙ্কটাপন্ন কিংফিশার এয়ারলাইন্স। যার জেরে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের দর পড়ে যায় যথাক্রমে ১.৩% ও ৩.৮%। কারণ সংস্থাটির সব থেকে বেশি ধার তাদের কাছেই। অবশ্য এ দিন স্বস্তিতে ছিল না অন্যান্য সংস্থাও। সেনসেক্সের আওতায় থাকা ৩০টি দরের মধ্যে ২৭টিই পড়েছে।
ইউরোপীয় দেশগুলির আর্থিক সঙ্কটের ছায়াও এ দিন পড়ে ভারতের বাজারে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, এই তিন মাসে দেখা গিয়েছে, জার্মানি ও ফ্রান্সের আর্থিক বৃদ্ধির হার ভাল হলেও, সামগ্রিক ভাবে ইউরোপীয় দেশগুলির বৃদ্ধির হার মাত্র ০.২%। পরিস্থতি যে রকম, তাতে আগামী তিন মাসে আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এমনকী ২০১২-র শুরুতেই গ্রিস, পর্তুগাল, ইতালি ও স্পেনের মতো ঋণ জর্জরিত দেশগুলি মন্দায় ডুবে যাবে বলেও আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের। যা সন্ত্রস্ত করেছে সারা বিশ্বকে। এশিয়ায় হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ইত্যাদি দেশের প্রধান সূচকগুলি ছিল নিম্নমুখী।
মঙ্গলবার ডলারের সাপেক্ষে ৩৭ পয়সা পড়েছে টাকার দামও। দিনের শেষে এক ডলার দাঁড়ায় ৫০.৬৭/৬৮ টাকায়। যা গত ৩২ মাসে সর্বনিম্ন। |