টুকরো খবর
বাণিজ্য মেলায় তুলাইপাঞ্জি, গোবিন্দভোগ
বাংলার কৃষিজ পণ্যের বাজার ধরতেও এ বার আন্তর্জাতিক| বাণিজ্য মেলাকে কাজে লাগাচ্ছে রাজ্য সরকার। তুলাইপাঞ্জি ও গোবিন্দভোগের মতো ভাল স্বাদ ও গন্ধের চালকে রাজ্যের বাইরেও পরিচিত করে তুলতে এই মেলায় আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছে রাজ্য কৃষি বিপণন দফতর। পশ্চিমবঙ্গের প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখে রাজ্যের কষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় আজ বলেন, “চালগুলি যাতে দেশের বাজার ধরতে পারে তার জন্যই ওই আলোচনাচক্র।” সেখানে আলোচনা হবে রাজ্যের আলুচাষিদের সমস্যা নিয়েও। এ ক্ষেত্রেও উদ্দেশ্য, রাজ্যের বাড়তি আলুর জন্য বাজার-সন্ধান। যেমন ফি বছর গড়ে ৯০ লক্ষ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হলেও এ বছরই হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মেট্রিক টন। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের কৃষিজ পণ্যগুলির জন্য বাজার ধরার উপরে জোর দিয়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনাও হচ্ছে এ নিয়ে। প্রগতি ময়দানে রাজ্যের প্যাভিলিয়নে এ সংক্রান্ত একাধিক স্টলও খোলা হয়েছে সে কারণে। মেলার আলোচনাচক্রে কেন্দ্রীয় কৃষিসচিব পি কে বসুর বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।

পরিকাঠামোর অভাবেই ত্রুটি হলমার্ক ব্যবস্থায়, অভিযোগ
পরিকাঠামোর অভাবেই রাজ্যে সোনার গয়নায় হলমার্ক দেওয়ার ব্যবস্থা ছড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ত্রুটি থেকে যাচ্ছে হলমার্ক দেওয়ার ব্যবস্থার মধ্যেও। যার ফলে আগামীদিনে প্রশ্ন উঠতে পারে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। এই অভিযোগ তুলছেন খোদ গয়না শিল্পমহলের একাংশই। হলমার্কের ব্যবহার নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে সম্প্রতি কলকাতায় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান পঙ্কজ পারেখ বলেন, “হলমার্ক ব্যবস্থা ত্রুটিহীন করার জন্য বিআইএসকে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হতে হবে। বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে যে বা যাঁরা হলমার্ক কেন্দ্রগুলির উপর নজরদারি করবেন, সেই সব বিআইএস কর্মীদের কাজেরও অডিট করা জরুরি।” পঙ্কজবাবু জানান, “এখনও হলমার্কের কোনও আন্তর্জতিক স্বীকৃতি নেই। বিশেষত গয়নার রফতানি বাড়াতে এটি পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। দেশে হলমার্ক ব্যবস্থাকে ত্রুটিহীন করে তুলতে না পারলে ওই স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।” কলকাতার চৌহদ্দি ছাড়িয়ে জেলা স্তরে, এমনকী গ্রামাঞ্চলেও হলমার্ক কেন্দ্র খোলার জন্য বিআইএসের কাছে আর্জি জানান বঙ্গীয় স্বণর্র্শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দার। তাঁর অভিযোগ, “কলকাতায় গোটা দশেক হলমার্ক কেন্দ্র থাকলেও, রাজ্যের অন্য কোনও জেলায় এই ধরনের কোনও কেন্দ্র নেই। তাই জেলা বা গ্রামের মানুষের পক্ষে স্থানীয় বিপণি থেকে হলমার্ক দেওয়া গয়না কেনার সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে।” অবশ্য বিআইএসের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অলকা পান্ডা জানান, কলকাতার বাইরেও হলমার্ক কেন্দ্র খুলতে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা।

সাজা হবে খয়েরবাড়ি
আরও বেশি পর্যটক টানতে ডুয়ার্সের খয়েরবাড়ি ঢেলে সাজার পরিকল্পনা নিচ্ছে বন দফতর। চিতাবাঘ ও সার্কাস থেকে উদ্ধার করে আনা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পুনর্বাসন কেন্দ্রটিকে কী ভাবে ঢেলে সাজা যায় তা নিয়ে কর্তাদের দ্রুততার সঙ্গে সমীক্ষার কাজ শেষ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। তিনি বলেন, “আরও বেশী করে পর্যটকদের খয়েরবাড়িমুখি করতে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন কী করা যেতে পারে তার রিপোর্ট তৈরির কথা বলা হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়লে পর্যটন কেন্দ্রটি আরও ভাল ভাবে সাজা হবে।” সম্প্রতি খয়েরবাড়ি পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে বনমন্ত্রী বন সুরক্ষা কমিটির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পরিকাঠামোগত ঘাটতির কথা জানতে পারেন। কৃত্রিম বনে চিতাবাঘ না ছেড়ে খাঁচায় রাখায় পর্যটকদের কাছে খয়েরবাড়ি গুরুত্ব হারাচ্ছে বলে মন্ত্রীকে জানান লোকজন। আলোচনার পর কৃত্রিম বনে আরও চিতাবাঘ কী ভাবে ছাড়া যায় তা নিয়ে জু অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য আধিকারিকদের বলেন বনমন্ত্রী। ২০০৩ সালে খয়েরবাড়ি পর্যটন কেন্দ্র চালু হয়। চিতাবাঘ ও সার্কাস থেকে উদ্ধার করা বাঘদের ওই কেন্দ্র আশ্রয় দেওয়া হয়। প্রথমে ৬টি চিতাবাঘ ছাড়া থাকত। ব্যাটারিচালিত গাড়িতে চড়ে চিতাবাঘ দেখার রোমহর্ষকর উপলব্ধি পেতে উপচে পড়ত পর্যটকদের ভিড়। এখন মাত্র ২ টি বাঘ রাখা হয়েছে। একটি বনে অপরটি খাঁচাবন্দি থাকে।

পর্যটন প্রসারে ‘সাইট’
শীতের ডুয়ার্স দেখতে চান! সরকারি রিসর্ট ভর্তি! বেসরকারি লজের কী অবস্থা জানেন না’ আর কোনও সমস্যা নেই। রাজ্য পর্যটন দফতরের ওয়েব সাইটে এ বার থেকে মিলবে ডুয়ার্সের বিভিন্ন হোম ট্যুরিজম সংস্থার নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর। রাজ্য পযর্টন দফতরের সচিব রাঘবেন্দ্র সিংহ বলেন, “উত্তরবঙ্গের চুইকিম, মিরিক, সামসিং, চিমনি, বক্সা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গার হোম ট্যুরিজমের বিবরণ সম্প্রতি পযর্টন দফতরের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। অনলাইন বুকিংও করা যাবে।” সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে সার্চ করলে অন্যান্য পযর্টন কেন্দ্রের পাশাপাশি ডুয়ার্সের বক্সা এলাকার ৪৮টি হোম ট্যুরিজমের মালিকের নাম, টেলিফোন নম্বর, তাদের ঘরে কটি বেড, বাথরুম রয়েছে। সেই সব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে পযর্টকরা সরাসরি কোথায় থাকতে চান তা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও মাধ্যম ছাড়াই যেতে পারবেন। কালচিনির আরএসপি’র জেলা পরিষদ সদস্য রামকুমার লামা জানান, বেশ কয়েক বছর যাবৎ ডুয়ার্সে ট্যুরিজম ব্যবসার প্রসার ঘটেছে। সঠিক প্রচারের অভাব ছিল। রাজ্য সরকারের পযর্টন দফতর তাদের ওয়েবসাইটে স্থানীয় হোম ট্যুরিজমের মালিকদের নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসাকে চাঙা করার চেষ্টা করছে।

সেলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাশ পস্কোর হাতে
ঝাড়খণ্ডে সেল ও পস্কোর যৌথ উদ্যোগে প্রস্তাবিত ইস্পাত প্রকল্পের রাশ থাকবে দক্ষিণ কোরীয় বহুজাতিক পস্কোর হাতেই। রাষ্ট্রায়ত্ত সেলের চেয়ারম্যান সি এস বর্মা মঙ্গলবার এ কথা জানান। বোকারো-তে ১৬ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করে বছরে ৩০ লক্ষ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ইস্পাত কারখানা গড়তে কথাবার্তা চালাচ্ছে দুই সংস্থা। প্রকল্পটিতে পস্কোর ফিনেক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা রয়েছে, যা তাদের পোহাং কারখানায় ব্যবহার করা হয়। ফলে উৎপাদন সংক্রান্ত যাবতীয় দায় বর্তাবে ওই সংস্থাটির উপরই।

দিল্লি বিমানবন্দরে
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে দিল্লি থেকে বিমানে কোথাও যেতে ফের দিতে হবে উন্নয়ন বাবদ বাড়তি অর্থ। দেশ ও বিদেশের কোনও গন্তব্যে যেতে গুণতে হবে যথাক্রমে ২০০ ও ১,৩০০ টাকা। বিমান ভাড়ার সঙ্গে অর্থ জমা নেবে সংশ্লিষ্ট পরিষেবা সংস্থা।

জিন্দল পাওয়ার
ছত্তীসগঢ়ের তামনাড়ে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ প্রকল্প সম্প্রসারণে রাজ্য পরিবেশ পর্ষদের অনুমতি পেল জিন্দল পাওয়ার। সেখানে এখন ১,০০০ মোগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে তাদের।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.