নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
বন্ধ পড়ে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত অপথ্যালমিক গ্লাস লিমিটেডের (বিওজিএল) অস্থাবর সম্পত্তির অধিকার নাগপুরের একটি সংস্থার আধিকারিকের হাতে তুলে দিলেন হাইকোর্ট নিযুক্ত তিন লিক্যুইডেটর। মঙ্গলবার এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলাকালীন কর্মী সংগঠনগুলি বিক্ষোভ দেখাতে পারে, এই আশঙ্কায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবেই সব মিটে গিয়েছে।
১৯৭২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় দুর্গাপুরে গড়ে উঠেছিল বিওজিএল। চশমার বাইফোকাল লেন্স, সামরিক বিভাগের অপটিক্যাল লেন্স, ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে ব্যবহৃত ফিল্টার গ্লাস প্রভৃতি সেখানে তৈরি হত। পরবর্তী সময়ে কারখানাটি রুগ্ণ হয়ে যায়। ১৯৯২ সালে বিআইএফআর-এ পাঠানো হয় সেটিকে। ২০০৩ সালে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৭ সালের জুলাইয়ে পাকাপাকি বন্ধ হয়ে যায় কারখানা।
|
কারখানার বাইরে পুলিশ প্রহরা। নিজস্ব চিত্র। |
এর পরেই হাইকোর্টের নির্দেশে কারখানাটি লিক্যুইডেটরের অধীনে চলে গিয়েছে। গত জুনের শেষে হাইকোর্টের কোম্পানি বিষয়ক বেঞ্চে সিদ্ধান্ত হয়, ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকায় নাগপুরের একটি সংস্থা কারখানাটি কিনে নেবে। এ দিন হাইকোর্ট নিযুক্ত তিন লিক্যুইডেটর সমীর রায়, অসীম নন্দী ও রতন রায় ওই সংস্থার আধিকারিক ওম ঝাওয়ারের হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে কাগজপত্র তুলে দেন। তবে এখানে তাঁদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, তিনি তা খোলসা করে বলতে চাননি।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, পাকাপাকি বন্ধ হওয়ার সময় সেখানে কর্মীর সংখ্যা ছিল ১৮৯। স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পে সামিল হয়েছিলেন ১৭ জন। কারখানা ফের খুলবে সেই আশায় স্বেচ্ছাবসর নিতে সম্মত হননি। বেতন ও আনুষঙ্গিক মিলিয়ে তাঁদের বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকায় দাঁড়িয়েছে। টাকা না মেলায় প্রবল আর্থিক কষ্টে দিন কাটছে পরিবারগুলির। সে কারণেই বকেয়া আদায়ের দাবিতে কর্মী সংগঠনগুলি বিক্ষোভ দেখাতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল প্রশাসনের। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়। |