বরাকরে যানজট কমাতে জবরদখল হটাতে চায় পুলিশ
রাকর বাজার এলাকায় সরকারি জমির অবৈধ দখলদারদের জায়গা খালি করার নির্দেশ জারি করেছে আসানসোল পুলিশ। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এলাকার ব্যবসায়ী ও বণিক সংগঠনগুলি।
কুলটি থানার এই বাজার এলাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যা যানজট। যার মূল কারণ রাস্তার দু’পাশে জমি জবরদখল। রাস্তার পাশের সরকারি জমি দখল করে বছরের পর বছর কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। বাজারে আসা মানুষজন স্কুটার, মোটরবাইক এমনকী চার চাকার গাড়িও রাস্তার উপরে দাঁড় করিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। তাতেই তৈরি হচ্ছে যানজট।
এখানেই শেষ নয়। বাজার এলাকায় যত্রতত্র রিকশা ও সাইকেল রিকশার স্ট্যান্ডও বানানো হয়েছে। বরাকর স্টেশন রোডে পাইকাররা রাস্তার উপরেই ছয় ও দশ চাকার ট্রাক দাঁড় করিয়ে পণ্য ওঠানো-নামানো করেন। তাতে যানজট বাড়ে। পুলিশের মতে, বরাকর বাসস্ট্যান্ড থেকে বেগুনিয়া মোড়, ডিসেরগড় রোড ও বরাকর স্টেশন রোডেই সমস্যা বেশি। কুলটি থানা এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত আসানসোল পুলিশের এসিপি অঞ্জলী সিংহ বলেন, “বরাকর অঞ্চলে যানজট সমস্যার সমাধান করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাস্তার মূল অংশ দখল করে রাখা ব্যবসায়ীদের সরে যেতে বলা হয়েছে।”
হারিয়েছে পথ। রাস্তা না বাজার? বরাকর বাসস্ট্যান্ডে মঙ্গলবার শৈলেন সরকারের তোলা ছবি।
পুলিশ জানায়, বাসস্ট্যান্ড থেকে বেগুনিয়া মোড় পর্যন্ত জি টি রোডের দু’পাশের জমি সরকারি। ডিসেরগড় রোড ও বরাকর স্টেশন রোডের দু’পাশের নালা পর্যন্ত পুরোপুরি ফাঁকা করে দিতে হবে। পুলিশের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা রাস্তার দু’পাশের নালার উপরে সিমেন্ট করে দোকানের অংশ বাড়িয়ে নিয়েছেন। ওই সব জায়গা ফাঁকা হয়ে গেলে কেনাকাটা করতে আসা মানুষজনকে আর রাস্তার উপরে যানবাহন দাঁড় করাতে হবে না। ফলে যানজটও কমবে।
প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। বস্ত্র ব্যবসায়ী রামমোহন ভর বলেন, “পুলিশের এই উদ্যোগে আমরা খুশি। এতে ক্রেতাদের আসা-যাওয়া বাড়বে। বিক্রিবাটা ভাল হবে।” বরাকর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি দীপক দুধানির মতেও, “যানজট সমস্যা মিটলে ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে। অর্থনীতির উন্নতি হবে।” বরাকর চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি গিরিধারীলাল অগ্রবালের প্রতিক্রিয়া, “এই উদ্যোগ সফল হলে সবচেয়ে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষজন।”
ব্যবসায়ী ও বণিক সভাগুলির অনুরোধে বরাকর স্টেশন রোডের পাইকারী ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বড় লরি দাঁড় করিয়ে পণ্য ওঠানো-নামানো করা যাবে না। তবে অবৈধ দখলদারি সরিয়ে দেওয়া হলে রাতারাতি বেকার হয়ে যাবেন অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সে কারণে রাস্তার পাশে পসরা সাজিয়ে যাঁরা বেচা-কেনা করেন তাঁরা দাবি করছেন, পুরসভার তরফে হকারদের জন্য একটি বাজার বানিয়ে দেওয়া হোক। বণিক সভাগুলিও পুরসভার কাছে একই দাবি জানিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বরাকরে একটি ‘পার্কিং জোন’ বানিয়ে দিক পুরসভা। কুলটির উপপ্রধান বাচ্চু রায়ের আশ্বাস, পুরসভা প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.