লিখিত পরীক্ষার পরের ধাপ ১৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের জন্য
গের সপ্তাহেই বলা হয়েছে ১৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে নিয়োগের জন্য আই বি পি এস-এর লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার কথা। আগামী ২৭ তারিখে ক্লার্ক পদের জন্য পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে তার প্রস্তুতি সম্পর্কে কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি সেটা হল, আই বি পি এস-এর পরীক্ষায় সফল হওয়া মানেই চাকরির চিঠি হাতে পেয়ে যাওয়া নয়। লিখিত পরীক্ষায় সফল হলে আই বি পি এস স্কোর কার্ড দেবে। এবং ব্যাঙ্কগুলি যখন শূন্য পদ পূরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করবে, তখন ওই কার্ড হাতে থাকলে আবেদন করা যাবে। ফলে চাকরির সুযোগ নিতে মৌখিক পরীক্ষার ধাপ টপকানোটাও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। তাই একেবারে শুরু থেকে সেটাও মাথায় রেখে এগিয়ে চললে লক্ষ্যে পৌঁছনোটা তুলনায় সহজ হবে।
যেমন, ফ্রন্টলাইন ইনস্টিটিউট অফ কম্পিটিটিভ এগ্জামিনেশন-এর কর্ণধার ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন লিখিত পরীক্ষার মতোই গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ইন্টারভিউয়ের। লিখিত পরীক্ষা একটিই, কিন্তু একেকটি ব্যাঙ্কের ইন্টারভিউয়ের ধরন কিছুটা আলাদা আলাদা। অর্থাৎ একজন প্রার্থীকে একাধিক মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে চাকরির জন্য। তাই পুরোদস্তুর প্রস্তুতি নিয়ে ময়দানে না-নামলে চাকরি নিশ্চিত করা যথেষ্ট কঠিন। জানালেন তিনি।

কী ভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিত এই ধরনের মৌখিক পরীক্ষার জন্য?
ব্যাঙ্কে চাকরির বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, মোটামুটি যে সমস্ত প্রশ্নের মুখে প্রার্থী পড়তে পারেন সেগুলি হল
• প্রার্থীর নিজের সম্পর্কে (নিজের সম্পর্কে দু’চার কথা বলুন, আপনার পারদর্শিতার দিকগুলি ইত্যাদি),
• ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র সম্পর্কে (ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ কেমন, নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের কর্তা-ব্যক্তি বা লাভলোকসান সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান, নন-পারফর্মিং অ্যাসেটস, অ্যাকসিলারেটেড ডেপ্রিসিয়েশন-এর মতো ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কিছু টার্মিনোলজি ইত্যাদি)।

ইন্টারভিউ সামলাতে ভাস্করবাবুর পরামর্শ
১) বিষয় অনুযায়ী কী ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে তার তালিকা তৈরি করুন
২) তালিকা ধরে নিয়মিত অনুশীলন করুন
৩) আত্মবিশ্বাসী থাকুন
৪) ঘাবড়ে গিয়ে ভুল উত্তর দেবেন না
৫) ভাল করে শুনে উত্তর দিন
৬) ব্যাঙ্কের কর্মীদের কিন্তু জনসংযোগ ভাল হওয়া অপরিহার্য, তাই হাসি মুখে সুন্দর করে কথা বলুন
৭) ব্যক্তিত্ব, নিজেকে তুলে ধরা ও উত্তরের মধ্যে যেন সততা থাকে
৮) দেশের অর্থনীতি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত প্রশ্ন থাকবে।
ভারত-সহ সারা বিশ্বের সাম্প্রতিক খবরের ভিত্তিতে মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক নীতি বা শেয়ার বাজারের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি থাকুন
৯) অবশ্য সে সবের পাশাপাশি খেলাধুলো, রাজনীতি-সহ দেশ-বিদেশের অন্যান্য খবরও রাখুন, কারণ ইন্টারভিউয়ে কিন্তু প্রশ্ন করা হতে পারে সেই সব নিয়েও
১০) তাই প্রতি দিন যে কোনও একটি সংবাদপত্র পড়ুন। নিয়মিত পড়ুন নিউজ ম্যাগাজিনও
১১) যে ব্যাঙ্কের চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন, সেই ব্যাঙ্কটির সম্পর্কে বিশদে পড়াশোনা করে যান। যেমন, তাদের সদর দফতর কোথায়, ব্যাঙ্কের কর্তার নাম কী, আর্থিক বছরে কেমন ব্যবসা করেছে (ব্যালেন্স সিট) ইত্যাদি। ইন্টারনেট ঘাটলেই পেয়ে যাবেন।
১২) আত্মবিশ্বাসী থাকুন
১৩) রুটিন তৈরি করে অনুশীলন করুন
১৪) সব থেকে জরুরি বিষয়, এক বার অসফল হলে ভেঙে পড়ার কারণ নেই কিন্তু। পর পর ইন্টারভিউ দিতে দিতে সড়গড়, সাবলীল হবেন। নিজেকে তৈরি করতে থাকুন, দেখবেন সফল হবেনই। সামনের পাঁচ বছরে ব্যাঙ্কে সাড়ে সাত লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। কাজেই সুযোগ প্রচুর।

অফিসার পদে নিয়োগ
জর্জ ইনস্টিটিউট অফ কম্পিটিটিভ এগ্জামিনেশন্স-এর অভিজিৎ কুণ্ডু জানিয়েছেন, আধিকারিক পদে চাকরির জন্য আই বি পি এস যে সমস্ত বিষয়গুলির উপর লিখিত পরীক্ষা নেবে, সেগুলি হল: টেস্ট অফ রিজনিং, ইংরেজি, নিউমেরিক্যাল এবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান ও ব্যাঙ্কিং শিল্প এবং কম্পিউটার জ্ঞান। অর্থাৎ বিষয় পাঁচটি। প্রত্যেকটি বিষয়ে নম্বর থাকবে ৫০ করে। ১৫০ মিনিটে (আড়াই ঘন্টা) ২৫০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এর মধ্যে একমাত্র ইংরেজিতে ২৫ নম্বরের অবজেক্টিভ ধরনের এবং ২৫ নম্বরের সাবজেক্টিভ ধরনের প্রশ্ন থাকবে। বাকিগুলিতে সবই অবজেক্টিভ ধরনের প্রশ্ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম পাশ নম্বর পেলে মিলবে স্কোর কার্ড।
স্কোর কার্ড পাবেন যাঁরা পরবর্তীকালে ব্যাঙ্কগুলির বিজ্ঞপ্তি মাফিক আবেদন করতে পারবেন ক্লার্ক পদের মতোই। ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতিও একই রকম ভাবে নিলেই চলবে। হয়তো বিষয়গুলির আরও একটু বেশি গভীরে যেতে হবে। তবে প্রবেশনারি-সহ অন্যান্য অফিসার পদের জন্য ইন্টারভিউ ছাড়াও হয় গ্রুপ ডিসকাশন।
(চলবে)
খেয়াল রাখুন
তথ্য সংকলন: কৌলিক ঘোষ

পুস্তক প্রকাশনার প্রশিক্ষণ কর্মশালা
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন বুক পাবলিশিং এবং পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড (কলকাতা)-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কেন্দ্রীয় সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট পুস্তক প্রকাশনার উপর দু’সপ্তাহের একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করছে। চলবে ডিসেম্বরের ৫ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত। আবেদন করার শেষ দিন ২৫ নভেম্বর। খরচ এক হাজার টাকা। যে কোনও বিষয়ে স্নাতক হলেই আবেদন করা যাবে। দেখে নিন www.nbtindia.org.in ওয়েবসাইট।



ইন্টারনেটের মাধ্যমে কর ব্যবস্থা শিখতে
এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে (অনলাইন) কর জমা দিতে হয়। এর জন্য বেঙ্গল ট্যাক্স কাউন্সিল শুরু করেছে এক বছরের ‘অনলাইন ট্যাক্সেশন’ পাঠ্যক্রম। এটি করা থাকলে অনলাইনে ভ্যাট, সিএসটি, উৎপাদন, পরিষেবা বা আয়কর-এর রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। জমা দেওয়া যাবে রিটার্নও। অ্যাকাউন্টস ও করের খুঁটিনাটি শেখার পাশাপাশি ওই সংক্রান্ত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থাকলে কর উপদেষ্টা বা ই-অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে স্বনির্ভর হতে পারবেন। ফোন: ৯৩৩১০ ৬২৭৩৩।

আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর

প্রশ্ন: আমার ছেলে এখন একাদশ শ্রেণির ছাত্র। ২০১৩-তে আইআইটি জয়েন্টে বসানোর ইচ্ছে রয়েছে। আমি জানতে চাই যে দেশে এখন আইআইটি কতগুলি, কী কী বিষয় পড়া যেতে পারে, ন্যূনতম কত নম্বর পেলে আইআইটি-তে পড়ার সুযোগ মেলে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ হওয়ার জন্য বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রীও যে উৎকৃষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়, তা দেখেছি। তাই উত্তর পেলে আমার মতো অনেকেই উপকৃত হবে।

উত্তর: আইআইটি-র সংখ্যা এখন ১৫। শুধু তাই নয়, আইআইটি-জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার মাধ্যমে ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়), ধানবাদের ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মাইনস-এর মতো প্রতিষ্ঠানেও ভর্তি হওয়া যায়। দেশ জুড়ে যে আইআইটিগুলি আছে, এগুলির অবস্থানও জেনে রাখা ভাল, মুম্বই, চেন্নাই, দিল্লি, খড়্গপুর, কানপুর, ভুবনেশ্বর, গাঁধীনগর, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ, ইনদওর, যোধপুর, মান্ডি, পটনা, রোপার, রুরকি।
আইআইটি জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষাটির দু’টি পত্র। দু’টিতেই মোট তিন ঘন্টার পরীক্ষা হয়। অবজেকটিভ ধরনের প্রশ্ন হলেও, প্রার্থীর বিচার-বুদ্ধি এবং মূল্যায়ন করার ক্ষমতা যাচাই করে দেখা হয়। দু’টি পত্রেই পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং গণিতের প্রশ্ন থাকে। পরীক্ষাটি হয় সাধারণত এপ্রিল মাসে (কোনও এক রবিবার)।
যোগ্যতার দিক দিয়ে বলা হচ্ছে যে ২০১৩-তে আইআইটি-জয়েন্টে বসতে পারবেন যাঁদের জন্ম ১৯৮৮ সালের ১ অক্টোবরের পর (সাধারণ প্রার্থীর ক্ষেত্রে)। যোগ্যতা হতে হবে ১০+২ উত্তীর্ণ বা ২০১২-তে ১০+২ দেবেন এমন। টানা দু’বছর পরীক্ষা দেওয়া যায়। তবে, ১০+২ স্তরে ৬০% নম্বর রাখা জরুরি। এ বার আইআইটি-র বিভিন্ন কোর্স সম্পর্কে জানানো হল আইআইটি-জয়েন্টের মাধ্যমে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের একাধিক পাঠ্যক্রমে ভর্তি হওয়া যায়। শুধু বি-টেক নয়, ব্যাচেলর ইন ডিজাইন, ব্যাচেলর ইন আর্কিটেকচার, পাঁচ বছরের এম ফার্মের ‘ডুয়াল’ ডিগ্রি, পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড এমএমসি ডিগ্রি, পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড এমএমসি-টেক ডিগ্রি, পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড এম টেক ডিগ্রিও পড়া যাবে। এ ছাড়া, রসায়ন, অর্থনীতি, পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিতে চার বছরের ব্যাচেলর অফ সায়েন্স ডিগ্রি পড়ার সুযোগও খুলেছে কানপুর আইআইটি-তে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.