|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
প্যাঁচার নাম টুনি |
আমাদের বাড়ির পাশে সুপারি গাছে হঠাৎ এক দিন একটা প্যাঁচা এসেছিল। গোল মুখ, গোল গোল চোখ আর পিঠের দিকটা অল্প ধূসর, বাকিটা পুরো সাদা। সারা দিন ও আমাদের ব্যালকনির দিকে মুখ করে বসে থাকত আর সন্ধেবেলায় কোথায় যেন উড়ে যেত। সকাল হলেই রোজ আমি স্কুল যাওয়ার সময় ওকে দেখতে পেতাম আবার স্কুল থেকে ফিরেও দেখতাম। আমি ওর নাম দিয়েছিলাম টুনি। এক দিন আমি টুনিকে ঘরে আনার জন্য গাছের বড় পাতাটা ধরে একটু টেনেছিলাম তাতে ভয় পেয়ে ও পরের দিন আসেনি। সেদিনটা আমার খুব খারাপ লেগেছিল। আবার তার পরের দিন দেখি চুপ করে ডালে বসে আছে। আমি আর কখনও টুনিকে বিরক্ত করিনি। আমাদের একটা খেলা ছিল, আমি ওর দিকে তাকিয়ে যে দিকে ঘাড় কাত করতাম টুনিও ঠিক তেমনি করত। এ রকম ভাবে বেশ কিছু দিন চলার পর টুনি এক দিন আর এল না। আমি ওর জন্য অপেক্ষা করতাম।
অস্মি সেন। দ্বিতীয় শ্রেণি, মাটিগাড়া সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল |
|
|
কাকের বাসা |
আমাদের বাড়ির কোণে ভাঙা নিম গাছে একটি কাক বাসা করেছে। দু’তিন দিন আগে দেখেছিলাম পাতা খড়কুটো নিয়ে বাসা বাধছে। তার পরের দিনই দেখি তিনটি ডিম পেড়েছে। আমি কয়েক দিন পর ভোরে উঠে দেখি তিনটি ডিম থেকে ছোট ছোট বাচ্চা বেরিয়েছে। বাচ্চারা মাকে দেখে কিচিরমিচির করছে। তা দেখে আমার খুব মজা লাগছিল। আমি মাঝে মধ্যে দেখি ওদের মা কিছু খাবার খাওয়াচ্ছে। তার কয়েক দিন পর ওদের ডানা শক্ত হলে ওরা মায়ের সঙ্গে উড়তে শেখে এবং কয়েক দিন পর খাবার খোঁজে উড়ে চলে যায়।
ওয়াহিদা পারভীন। চতুর্থ শ্রেণি, মা সারদা শিক্ষা নিকেতন, কান্দি |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|