ওড়া বন্ধ দুই পাইলটের, সাসপেন্ড গাড়িচালক
নিজস্ব সংবাদদাতা |
কলকাতা বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানের ডানার সঙ্গে সিঁড়ি-টানা গাড়ির ধাক্কা লাগার ঘটনায় ওই গাড়ির চালককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত ‘ডি-রোস্টার’ করা হয়েছে গুয়াহাটিগামী বিমানটির দুই পাইলটকে। আপাতত তাঁরা বিমান চালানোর অনুমতি পাবেন না। দৌড় শুরু করার সময় বিমানের কাছে কোনও এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ারের হাজির থাকাটাই নিয়ম। অভিযোগ উঠেছে, ওই দুর্ঘটনার সময় কোনও ইঞ্জিনিয়ার সেখানে ছিলেন না। ওই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখছে এয়ার ইন্ডিয়া। ওই দুর্ঘটনা ঘটে শনিবার সকালে। তার তদন্ত করছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। বিমানের দুই পাইলট এবং সিঁড়ি-গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ডিজিসিএ-র অফিসারেরা। বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং অন্যান্য তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন তাঁরা। তদন্ত হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফেও। এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রের খবর, শনিবার বেলা পৌনে ১০টা নাগাদ এয়ারবাস-৩১৯ বিমানটির গুয়াহাটি যাওয়ার কথা ছিল। বিমানটি উড়ে যাওয়ার জন্য দৌড় শুরু করার পরেই সেটির ডানার সঙ্গে ধাক্কা লাগে কাছে দাঁড়িয়ে থাকা বিমানের সিঁড়ি-টানা একটি গাড়ির। সেই সময় ওই বিমানে ছিলেন ৬০ জন যাত্রী, দু’জন পাইলট এবং বিমানসেবিকারা। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যান তাঁরা। বিমানের গতি কম থাকায় কেউ আহত হননি। সিঁড়ি-টানা গাড়ির চালকও অক্ষত ছিলেন। বিমানের ডানার ধাক্কায় গাড়িতে থাকা সিঁড়িটে উল্টে যায়। দুর্ঘটনার পরে ক্ষতিগ্রস্ত বিমান থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। মেরামত করে বিমানটিকে শনিবার রাতেই মুম্বই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। |
ভারতীয় নৌসেনার তিনটি যুদ্ধ-জাহাজ ঘুরে দেখার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, নৌ-সপ্তাহ উদ্যাপনের অঙ্গ হিসেবে বিশাখাপত্তনম থেকে ‘ঐরাবত’, ‘কার্মুক’ এবং ‘কুঠার’ এই তিনটি যুদ্ধ-জাহাজ আজ, সোমবার খিদিরপুরে এসে পৌঁছবে। ৮ ও ৯ নভেম্বর ১০টা থেকে ৩টে পর্যন্ত জাহাজ তিনটি ঘুরে দেখা যাবে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডে খিদিরপুর ডকের ৩এ গেট দিয়ে সাধারণ মানুষ ঢুকবেন। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঐরাবত জাহাজে চেপে ২৫০ জন সেনা, ১৫-২০টি যুদ্ধের ট্যাঙ্ক-সহ বেশ কিছু সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে নেমে পড়তে পারেন শত্রুপক্ষের সাগরতীরে। বাকি দু’টি জাহাজে আছে মিসাইল-সহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। তিনটি জাহাজই গার্ডেনরিচে তৈরি। |