জ্বরে আক্রান্ত ২০, ভগবানপুরের গ্রামে চিকিৎসক দল |
জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে ভগবানপুর ১ ব্লকের মহম্মদপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকার নীলকণ্ঠপুর ও সংলগ্ন বাঁকাভেড়ি গ্রামে। অজানা এই জ্বর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বুধবার রাজ্য ও পুনের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল গ্রামে আসে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পাশাপাশি আক্রান্তদের রক্ত ও প্রস্রাবের নমুনা নিয়েছে তারা। অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ২৫ জনের ওই দলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, স্বাস্থ্যভবনের আধিকারিকদের পাশাপাশি জেলা ও ব্লকের চিকিৎসকেরাও ছিলেন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কুড়ি আগে গ্রামের কয়েকজন শিশুর জ্বর হয়। বারবার জ্বর ফিরে আসায় নয়ন জানা ও সুদীপ জানা নামে দুই কিশোরকে প্রথমে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ-এ ভর্তি করানো হয়। তারা এখন সুস্থ হলেও গ্রামের প্রায় জনা কুড়ি শিশু-কিশোর এখনও জ্বরে আক্রান্ত। স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, কলকাতায় চিকিৎসা হয়েছিল যাদের, তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছিল। রক্ত পরীক্ষার পরে ‘অজানা’ ভাইরাস সম্পর্কে বিশদে জানতে এ দিন চিকিৎসকের দল গ্রামে আসে। আক্রান্তদের পরিবারের আশপাশ, শৌচাগার, গোয়ালঘর প্রভৃতি জায়গা থেকেও নানা নমুনা সংগ্রহ করেছে তারা। পূর্ব মেদিনীপুরের সিএমওএইচ সুকুমার দাস জানান, আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে ফের চিকিৎসকের দল গ্রামে নমুনা সংগ্রহ করতে আসবে। |
পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকা পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। বুধবার রায়গঞ্জের শীতগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ রায়গঞ্জ ব্লকের ৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মশার নমুনাও তাঁরা সংগ্রহ করছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি দিল্লিতে ফিরে ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে। অন্য দিকে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শীতগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও রায়গঞ্জ ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে মশা মারার তেল এবং জীবাণুনাশক পাউডার ছড়ানোর কাজ আরও জোরদার করছে স্বাস্থ্য দফতর। ৩ টি দল এতদিন ওই কাজ করলেও এ বার থেকে ৪ টি দল আলাদাভাবে কাজ করবে। উত্তর দিনাজপুরের উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) অজয় চক্রবর্তী বলেন, “আরও কয়েক দিন বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা পরিদর্শন করবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি। বিভিন্ন এলাকায় জ্বরে আক্রান্তদের রক্ত পরীক্ষা করে ওষুধ বিলির কাজও চালু থাকবে।” সম্প্রতি মুম্বইয়ে দিনমজুরির কাজ করতে গিয়ে শীতগ্রাম এলাকার ২০ যুবক অসুস্থ হন। ফেরার পথে মালদহে ১ জনের এবং রায়গঞ্জে ২ জনের মৃত্যু হয়। বিষয়টি জেনে শীতগ্রাম-সহ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার শতাধিক বাসিন্দা ম্যালেরিয়ার আতঙ্কে এলাকায় ফিরছেন। সকলেই ভিন রাজ্যে দিনমজুরির কাজ করেন। স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক দল বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় শিবির করে বাসিন্দাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা এবং ওষুধ বিলিতে নেমেছে। এখন পর্যন্ত ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৩০০ জনের রক্ত পরীক্ষা করে ওষুধ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এ দিন নতুন কারও শরীরে ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার জীবাণু না মিললেও ইতিমধ্যে শীতগ্রাম-সহ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় ২২ জন যুবক ওই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। সকলেই মুম্বইতে দিন মজুরির কাজ করতে গিয়েছিলেন। তাঁদের রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সম্প্রতি ১৮ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। |
প্রসূতি বিভাগে পুরুষদের আনাগোনা |
প্রসূতি বিভাগে পুরুষদের আধিক্য দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ বীরভূম জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি এ ব্যাপারে সুপারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার দুপুরের রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকাকি আশিসকুমার মল্লিক-সহ ডেপুটি সিএমওএইচ-২ দিলীপ দত্ত। আশিসবাবু বলেন, “প্রধানত হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং হাসপাতালের ভিতর-বাহিরে যে রঙের কাজ চলছে সেগুলি দেখতে ওয়ার্ড ঘুরে দেখি। কিন্তু প্রসূতি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের সঙ্গে দেখা করার সময় ছাড়া দুপুরে পুরুষদের যত্রতত্র আনাগোনা। সুপারকে এগুলি অবিলম্বে বন্ধ করতে বলা হয়েছে।” শুধু প্রসূতি বিভাগে পুরুষদের আধিক্য দেখে আশিসবাবু ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তা নয়, সদ্যোজাত শিশুদের জন্য নির্মীয়মাণ ভবনের কাজ দেখেও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ দিন হাসপাতাল ঘুরে দেখার সময়ে হাসপাতালের কর্মীরা সিএমওএইচ-এর কাছে অভিযোগ করেন, মাঝে মধ্যে পর্যাপ্ত স্যালাইনের যোগান থাকে না। সিএমওএইচ অবশ্য বলেন, “চাহিদা মতো স্যালাইনের যোগান দেওয়া হয়।” হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রী হালদার বলেন, “প্রসূতি বিভাগে ও নীচের গেটে রোগীদের সঙ্গে দেখা করার সময়ের উল্লেখ আছে। তবুও পাহারাদারদের নজরদারির অভাবে প্রসূতি বিভাগে পুরুষদের ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। নতুন ভাবে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করার চেষ্টা চলছে। সেটা করা গেলে আশা করা যায় সমস্যা কিছুটা হলেও মিটবে।”
|
কোল ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠা সপ্তাহ উপলক্ষে বুধবার স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেন চনচনি কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ। এ দিন খনি কর্মীদের রক্তচাপ, সুগার ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসক ভাস্কর বসু জানান, কয়লাঞ্চলে স্বাভাবিক কারণেই শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রকোপ বেশি। |