যানজট এড়াতে উড়ালপুল চাই
হুগলির মহানাদে সপ্তাহে তিন দিন হাট বসে। বিভিন্ন রুটের বাস-ট্রেকার চলে এখান দিয়ে। মহানাদ চৌমাথায় প্রচুর দোকানপাট। জমজমাট এলাকা। স্কুল-কলেজ-ব্যাঙ্ক তো আছেই, তা ছাড়াও নানা প্রয়োজনে প্রচুর মানুষ এই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করেন। চৌমাথা মোড়ে হামেশাই যানজট লেগে থাকে। দুর্ভোগে পড়েন মানুষ। সিনেমাতলা থেকে হাটতলা পর্যন্ত একটি উড়ালপুল তৈরি হলে এই সমস্যার সমাধান হয়।
পাণ্ডুয়াও একটি প্রাচীর এবং গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। মেলাতলা-সংলগ্ন গরুর হাটটি জেলার বৃহত্তম। সপ্তাহে দু’দিন এই হাট বসে। হাসপাতাল, বাজার, ব্যাঙ্ক, স্কুল ছাড়াও কয়েকটি সরকারি দফতর আছে এখানে। তা ছাড়া, বিভিন্ন রুটের বাস-ট্রেকার যায় এখান দিয়ে। জিটি রোডের উপরে তেলেনিপাড়া মোড় এবং চৌমাথা চত্ত্বর সর্বদাই ভিড়ে ঠাসা। প্রায়শই এখানে যানজট থাকে। যে কারণে মাঝে মধ্যেই জিটি রোডও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনাও ঘটে আকছার। পাণ্ডুয়ার মেলাতলা থেকে স্টেশন রোডের মিশনারি স্কুল পর্যন্ত উড়ালপুল দরকার।
বেহাল উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র, সংস্কার আশু প্রয়োজন
ডোমজুড় ব্লকের ১৮টি পঞ্চায়েতে আছে ৪৮টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। মহিয়াড়ি ১ পঞ্চায়েতে প্রায় চার বিঘা জমির উপরে ‘লক্ষ্মীকমল হাসপাতাল’ নামে একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। একটা সময় ছিল, যখন এই কেন্দ্রটি রমরম করে চলত। বিভিন্ন চিকিৎসার সুযোগ যেমন ছিল, তেমনই ছোটখাট অস্ত্রোপচারের মতো সরঞ্জামও ছিল এখানে। কোয়ার্টাারে থাকতেন নার্স ও চিকিৎসকেরা। ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ছিল গ্রামবাসীর কাছে একমাত্র সম্বল। কিন্তু ইদানীং পরিস্থিতি বদলেছে। সংস্কারের অভাবে কোয়ার্টারে থাকতে চান না চিকিতি্সক ও নার্সরা। কোয়ার্টারের ভিতরে দরজা-জানলা ভাঙা। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অবস্থাও তথৈবচ। সমাজবিরোধীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে এটি। সন্ধের পর থেকে এই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় পান মানুষ। মৌরিরথতলার এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের এখন নিজেরই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বেহাল, জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ভবন। এখানে মূলত প্রসূতি ও শিশুদের চিকিৎসা হয়। টিকাকরণ কর্মসূচিও চলে এখান থেকে। কিন্তু পরিপূর্ণ চিকিৎসা পরিষেবা অমিল। গ্রামের মানুষকে যেতে হচ্ছে অন্য উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা নার্সিংহোমে। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি সংস্কার করে এখান থেকে সুষ্ঠু পরিষেবা চালু করা দরকার।
ট্রেন ধরার সমস্যার সমাধান চান যাত্রীরা
পূর্ব রেলের কামারকুণ্ডু একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। হাওড়া-বর্ধমান কর্ডলাইনের এই স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম তিনটি নীচে এবং হাওড়া-তারকেশ্বর লাইনের প্ল্যাটফর্ম দু’টি উপরে। দুই লাইনের ট্রেন যখন একই সঙ্গে স্টেশনে ঢোকে, তখন চালকদের উদ্দেশে ঘোষণা করা হয় ‘কানেকশন’ নেওয়ার জন্য। কর্ডের ট্রেনের চালকেরা সেই নির্দেশ পালন করলেও তারকেশ্বর লাইনে চালকেরা তা প্রায়শই অমান্য করে ট্রেন ছেড়ে দেন। বহু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু, মহিলা এই লাইনে চলাফেরা করেন। তারকেশ্বর শাখার প্ল্যাটফর্ম দু’টি উপরে অবস্থিত এবং আপ ও ডাউন প্ল্যাটফর্ম লোহার উঁচু রেলিং দিয়ে বিভাজিত করা। ওভারব্রিজ না থাকায় প্ল্যাটফর্ম বদল করতে গিয়ে অনেক যাত্রীই ট্রেন ধরতে পারেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টির দিকে নজর দিলে বহু যাত্রী উপকৃত হবেন।
প্রতীক্ষালয় সংস্কার হোক
গজারমোড় একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন। আরামবাগ থেকে কলকাতা, হরিপাল থেকে উদয়নারায়ণপুর যেতে পড়ে অহল্যাবাঈ রোডের এই গজারমোড়। সর্বদাই ভিড়ে ঠাসা থাকে এই এলাকা। কিন্তু এখানকার পান্থনীড়টির অবস্থা খুবই করুণ। সব সময়ে জল জমে প্যাচপ্যাচে দশা। বসার জায়গাগুলি নোংরা, অপরিচ্ছন্ন। যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি সংস্কার করা খুবই জরুরি।
পাকা শৌচালয় দরকার
সাঁতরাগাছি হাওড়া থেকে কলকাতার প্রবেশপথ। এখানে রেললাইনের পাশে ছোট ঝিলে শতাধিক খাটা পায়খানা আছে। ফলে, দূষিত হচ্ছে জল। অবিলম্বে এই খাটা পায়খানাগুলি বন্ধ হওয়া দরকার। পরিবর্তে পাকা শৌচালয় চালু করা জরুরি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.