উৎসবে কড়া নিরাপত্তা কৃষ্ণনগরে
ৎসবের দিনগুলিতে কৃষ্ণনগরে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় পুলিশ-প্রশাসন। যদি কোনও গণ্ডগোল ঘটেও যায়, তা মোকাবিলার জন্য সব রকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। কয়েকশো পুলিশের প্রহরায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে গোটা শহর। জেলার বাইরে থেকেও এই উৎসবের দিনের জন্য আনা হবে পুলিশকর্মীদের। জেলার বিভিন্ন থানার ওসি এবং উচ্চপদস্থ অফিসারদেরও দেওয়া হচ্ছে পুজো সুষ্ঠু ভাবে করার নানা দায়িত্ব। থাকছে জলকামানের ব্যবস্থাও। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “উৎসবের দিনগুলিতে যাতে শহরের ভিতরে কোনও অশান্তি না হয়, তার জন্য আমরা সব রকম ভাবে প্রস্তুত। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুরো শহরকে ঘিরে ফেলা হবে।”
পুজোর আগের দিন, অর্থাৎ আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শহরের ভিতরে যানবাহন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই দিন বিকেল তিনটের পর থেকে শহরের রাস্তায় যে কোনও বড় গাড়ি চলাচল কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিভিন্ন রুটের বাস দাঁড়াবে নির্দিষ্ট জায়গার বদলে অন্য জায়গায়। যেমন করিমপুর রুটের বাস দাঁড়াবে ঘূর্ণি হালদার পাড়ায়। মাজদিয়া রুটের বাস দাঁড়াবে গোদাডাঙা। হাঁসখালি রুটের বাস দাঁড়াবে আনন্দময়ী তলার কাছে কলতলা এলাকায়। নবদ্বীপ রুটের বাসগুলি দাঁড়াবে পালপাড়া ও কলেজ মাঠ এলাকায়। ওই এলাকা থেকেই ছাড়বে জাতীয় সড়ক ধরে যে সব বাস ছাড়ে, সেগুলিও।
কৃষ্ণনগরের একটি মণ্ডপে পুলিশ কুকুর নিয়ে তল্লাশি। ছবি তুলেছেন সুদীপ ভট্টাচার্য।
পুজোর দিন সকালে, অর্থাৎ শুক্রবার সকালে শহরের ভিতরে গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হবে। কিন্তু পোস্ট অফিস মোড় থেকে চাষাপাড়ার দিকে যান চলাচল কড়া ভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে। ওই দিন দুপুর তিনটে থেকে ফের শহরের যে কোনও জায়গায় গাড়ি ঢোকা বেরোনো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শনি ও রবিবারও বিসর্জনের জন্য শহরে কড়া নজরদারি থাকবে।
তৈরি থাকছে দমকল বাহিনীও। এই দিন গুলির জন্য দমকল বিভাগের ৪৫ জন কর্মী। তৈরি থাকবে তিনটি গাড়ি। তার মধ্যে একটি দেড় হাজার লিটার এবং দু’টি এক হাজার লিটার জল বহন করতে পারে। থাকবে আরও একটি গাড়ি যা স্থানীয় জলাশয় থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করেন দমকলকর্মীরা। কৃষ্ণনগরে দমকলের ওসি হরলাল সরকার বলেন, “আমাদের কর্মীরা সর্বদা প্রস্তুত থাকবেন। কিন্তু পুজো উদ্যোক্তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে। যদি কেউ নিয়ম না মানেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তাঁর বক্তব্য, প্রতিটি মণ্ডপে বালি ও জল ভর্তি বালতি রাখা বাধ্যতামূলক। মণ্ডপের মধ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ। সে সম্পর্কে বোর্ডও রাখতে হবে। মণ্ডপের কাছাকাছি যেন কোনও ভাবেই আগুন জ্বালানো না হয়, সে দিকেও কড়া নজর রাখতে হবে উদ্যোক্তাদের।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.