নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
বিশ্ব যোগাসন প্রতিযোগিতায় সাব-জুনিয়র বিভাগে প্রথম হয়েছে বিষ্ণুপুরের স্নেহশ্রী দাস। সম্প্রতি নেপালের কাঠমাণ্ডুতে এই প্রতিযোগিতাটি হয়। চেন্নাইয়ে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরে এ বার বিশ্ব যোগাসন প্রতিযোগিতায় ১১-১৪ বছর বিভাগে তার এই সম্মান প্রাপ্তিতে বিষ্ণুপুরের সঙ্গে এ রাজ্যের বাসিন্দারাও গর্বিত। খুশিতে উচ্ছ্বসিত তার ক্লাব অনন্ত স্মৃতি ব্যায়ামাগারের প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা ও সদস্যেরা। তাকে ফুলের স্তবক দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
ব্যায়ামাগারের সম্পাদক গৌতম গোস্বামী বলেন, “২০০৯-এ চেন্নাইয়ে জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতায় স্নেহশ্রী অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু, সে বার সে সফল হয়নি। এ বার তার সাফল্য আকাশচুম্বি। যোগ ফেডারেশন অব এশিয়া আয়োজিত প্রথম বিশ্ব যোগাসন প্রতিযোগিতায় সাব-জুনিয়র বিভাগে প্রথম হয়েছে।” স্নেহশ্রীর বাড়ি বিষ্ণুপুর শহরের ধুলোপাড়ায়। সেখানেও খুশির আমেজ। খুশি তার স্কুল শিবদাস সেন্ট্রাল হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও। ওই স্কুলে নবম শ্রেণিতে স্নেহশ্রী পড়ে। তার প্রতিক্রিয়া, “এই সম্মান পেয়ে ভাল লাগছে। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও মালয়েশিয়ার ৬৫ জনকে হারিয়ে শীর্ষ স্থানে আসতে পেরেছি আমি।এই জয় দেশবাসীকে উৎসর্গ করছি।” |
মেয়ের এই সাফল্যে খুশী তার বাবা একটি মোটরবাইক শো-রুমের কর্মী মানসকুমার দাস। তিনি বলেন, “স্নেহশ্রীর বয়েস যখন আড়াই বছর, তখন থেকে তাকে যোগব্যায়াম শেখানো হচ্ছে। জেলা, রাজ্য ও জাতীয়স্তরে সে ইতিমধ্যে পুরস্কৃত হয়েছে। এ বার বিশ্বজয়ীর খেতাব বাড়িতে নিয়ে এলো। ওকে নিয়ে আমরা সত্যিই খুশি।”
যোগব্যায়ামের পাশাপাশি এই মেয়ে লেখাপড়াতেও যথেষ্ট ভাল। স্কুলের পরীক্ষায় ক্লাসের প্রথম ১০ জনের মধ্যে সে বরাবর থাকে। সে জানায়, “আজীবন যোগাসন করে যাব।” তবে তার ইচ্ছা, বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে। তার এই সাফল্যে খুশি বিষ্ণুপুর পুরসভার উপপুরপ্রধান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্নেহশ্রী এই শহরের গর্ব। তার এগিয়ে যাওয়ার পথে সব ধরনের সাহায্য পুরসভার পক্ষ থেকে করার চেষ্টা করা হবে।” সামনের দিকেই তাকিয়ে স্নেহশ্রী। |