ফের অনিশ্চয়তা বাড়ল শেয়ার বাজারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে ত্রাণ প্যাকেজ গত সপ্তাহে বাজারকে উৎসাহিত করেছিল, তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রশ্নচিহ্ন পড়ে যাওয়াই নতুন করে এই অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার কারণ।
বুধবার ভারতে শেয়ার সূচক দুলেছে ঘড়ির পেন্ডুলামের মতোই। যদিও দিনের শেষে সেনসেক্স থেমেছে আগের দিনের থেকে মাত্র ১৬ পয়েন্ট নীচে, কিন্তু সারা দিন ধরে শেয়ার দর ওঠা-নামা করেছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। এ দিন প্রায় ২৮০ পয়েন্ট ওঠানামা করে সেনসেক্স। এক সময়ে তা উঠে গিয়েছিল ১৭,৬১৫.৯২ অঙ্কে। বাজার বন্ধের সময়ে তা নেমে এসে দাঁড়ায় ১৭,৪৬৪.৮৫ অঙ্কে। এমনকী তার আগে ১৭,৩৩৭.৬৫ অঙ্কে নেমে গিয়েছিল সূচক। বিশেষজ্ঞদের মতে, লগ্নিকারীরা আপাতত থমকে রয়েছেন। অবস্থা কোন দিকে যায়, তা অনুধাবন করে নিতে চান তাঁরা।
গ্রিস-সহ ইউরোপের আরও কিছু দেশের ঋণ মেটানো সংক্রান্ত সমস্যার সুরাহা করতে গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার আর্থিক ত্রাণ তহবিল বাড়িয়ে ১.৪ লক্ষ কোটি ডলার (১ লক্ষ কোটি ইউরো) করার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রিসের ৫০% ঋণ মকুব করার কথাও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তা কার্যকর করা নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা। প্যাকেজটির ব্যাপারে জনসাধারণের মতামত জানতে গণভোট নিতে চান গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী। বস্তুত গ্রিসের জনগণ ওই প্যাকেজ গ্রহণ করবেন কি না, সংশয় আছে তা নিয়ে। কারণ ওই ধরনের ত্রাণের পরিণতি নেতিবাচক হয় বলে সাম্প্রতিক এক গণভোটে রায় দিয়েছেন সে দেশের মানুষ। আর এইখানেই শঙ্কিত লগ্নিকারীরা। তাঁরা মনে করেন ওই প্যাকেজ ভোটে বাতিল হলে গ্রিসের ঋণ-সমস্যা চূড়ান্ত আকার নেবে। এই আশঙ্কার জেরে এ দিন ইউরোপের বাজারও খোলার পরেই পড়ছিল। পরে অবশ্য তা ঘুরে দাঁড়ায়। খোলার পরে উঠেছে মার্কিন বাজারও। ভারতে অবশ্য ওই কারণটি ছাড়াও গাড়ির চাহিদা কমার বিরূপ প্রভাব পড়েছে বিশেষত ওই শিল্পের শেয়ারে।
ফেডারেল রিজার্ভ-এর ঋণনীতি অপরিবর্তিত। ঋণনীতিতে কোনও পরিবর্তন আনেনি মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ। তবে তারা আর্থিক বৃদ্ধি কমার ঝুঁকি বেড়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। |