প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আপিল খারিজ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের |
তাঁকে প্রত্যর্পণ না করার জন্য যে আপিল করেছিলেন ‘উইকিলিকস’-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রধান সম্পাদক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, তা আজ খারিজ হয়ে গেল লন্ডন হাইকোর্টে। তবে, ১৪ দিনের মধ্যে অ্যাসাঞ্জ সুপ্রিম কোর্টে ফের আবেদন করতে পারেন। অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ার ফলে ‘জনস্বার্থ বিঘ্নিত’ হচ্ছে। এই মর্মে তাঁরা ফের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন। আর সে ক্ষেত্রে অ্যাসাঞ্জের শর্তাধীন জামিন পাওয়ার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল। কিন্তু যদি, অ্যাসাঞ্জকে ওই আপিল করতে না দেওয়া হয়, তা হলে ১০ দিনের মধ্যে তাঁকে সুইডেনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ২০১০-এর অগস্টে সুইডেনে দুই মহিলাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অ্যাসাঞ্জকে। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি ও বলপ্রয়োগের দায়ে সুইডেনের সরকার অ্যাসাঞ্জকে অভিযুক্ত করে। অভিযোগের ভিত্তিতে লন্ডনে তাঁকে গত ডিসেম্বরে গ্রেফতার করা হয়। এর পর তাঁকে সুইডেনে প্রত্যর্পণ করার কথা জানানো হলে, অ্যাসাঞ্জ তার বিরুদ্ধে লন্ডন হাইকোর্টে আপিল করেন। অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীদের আশঙ্কা, সুইডেনে তাঁকে প্রত্যর্পণ করা হলে, তাদের হাতে অ্যাসাঞ্জকে তুলে দেওয়ার জন্য আমেরিকা আবার সুইডেনকে অনুরোধ করতে পারে। মার্কিন সরকারের গোপন নথি ফাঁস করার দায়ে সেখানও অভিযুক্ত অ্যাসাঞ্জ। অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীদের আশঙ্কা, সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে অ্যাসাঞ্জের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। অথবা তাঁকে গুয়ান্তানামো বে’তে রাখা হতে পারে। সে কারণেই তাঁরা যে কোনও মূল্যে সুইডিশ কর্তৃপক্ষের হাতে অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণ রুখতে মরিয়া চেষ্টা চালাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
|
ভারতকে বিশেষ মর্যাদা পাকিস্তানের |
অবশেষে ভারতকে বাণিজ্যে সর্বাধিক সুবিধে প্রাপ্ত দেশের (মোস্ট ফেভারড নেশন) মর্যাদা দিল পাকিস্তান। ভারত অবশ্য অনেক আগেই পাকিস্তানকে এই মর্যাদা দিয়েছিল। পাক তথ্যমন্ত্রী ফিরদৌস আশিক আওয়ান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বাণিজ্য সচিবের বক্তব্য শোনার পরে ভারতকে সর্বাধিক সুবিধে প্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই পদক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগাযোগ বাড়লে তা দু’দেশের সমস্যা মেটানোর ক্ষেত্রেও সহায়ক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পাকিস্তান স্পষ্টই জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের সঙ্গে কাশ্মীরের কোনও যোগ নেই। কাশ্মীর নিয়ে তাদের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়নি। সামনেই সার্ক দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে দেখা হওয়ার কথা ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর। ভারতকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাক সেনাও সমর্থন করেছে বলে জানিয়েছেন ফিরদৌস। তবে পাক মন্ত্রিসভায় অনেক আপত্তির মুখে পড়েছিল এই সিদ্ধান্তও। আওয়ান জানিয়েছেন, কাশ্মীর, রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেক মন্ত্রীই। কিন্তু, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সঙ্গে এই বিষয়গুলির কোনও সম্পর্ক রাখতে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। |