|
|
|
|
জ্বরের রহস্যভেদে শহরে পুণের বিজ্ঞানী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের রিপোর্ট পাওয়ার আগে নিজেই কলকাতায় রোগী দেখতে শুরু করলেন পুণের ‘ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি’-র বিজ্ঞানী বাবাসাহেব তান্ডলে। খতিয়ে দেখলেন, রোগীদের উপসর্গ, ওষুধ ও রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট। জানালেন, দু’দিন নানা এলাকা ঘুরে দেখবেন, কোনও জীবাণুর বাড়বাড়ন্তে পরিবেশ দায়ী কি না।
মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় পৌঁছেই তান্ডলে খোঁজ নেন কোথায় নাম না জানা জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি। স্বাস্থ্য-ভবনের জনস্বাস্থ্য বিভাগের অফিসারদের সঙ্গে তিনি যান ‘ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ’-এ। সেখানে ওই জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের পরীক্ষা করেন। কিছু অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
হাসপাতাল ঘুরে দেখে শিক্ষা-স্বাস্থ্য অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন’-এর অধিকর্তা কৃষ্ণাংশু রায় এবং জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্তা অসিত বিশ্বাসের সঙ্গে স্বাস্থ্য-ভবনে বৈঠক করেন তান্ডলে। তিনি বলেন, “আরও কিছু হাসপাতালে রোগীদের পরীক্ষা করব। রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করা হবে। যে সব এলাকায় জ্বর বেশি হচ্ছে, সেখানকার পরিবেশ ঘুরে দেখব।”
জনস্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, গত দেড় মাসে যাঁরা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৭৫-৮০ শতাংশের রক্তে চিকুনগুনিয়া ও ১০ শতাংশের রক্তে ডেঙ্গি মিলেছে। কিন্তু বাকি ১০ শতাংশের ক্ষেত্রে কোন ভাইরাস থেকে ওই জ্বর হচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। ওই জ্বরের রহস্যভেদ করতে তাই পুণের ‘ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি’-র দ্বারস্থ হয় রাজ্য। জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে জনা দশেকের রক্ত পুণেতে পাঠানো হয়েছে। তান্ডলে জানান, তা এখনও পরীক্ষা হয়নি। এখানকার পরিস্থিতি দেখে গিয়ে তবে রক্ত পরীক্ষা করবেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজেও কিছু নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, নাম না জানা জ্বর এখনও কলকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকাতেই সীমাবদ্ধ। সেটাই আশার খবর। তাঁরা চাইছেন, পুণের বিশেষজ্ঞেরা জ্বরটির কারণ খুঁজে বার করুন, না হলে রোগ প্রতিরোধে সমস্যা হতে পারে। |
|
|
|
|
|