দশ মাসে টাকা দ্বিগুণের টোপ দিয়ে প্রতারণা মামলায় পুলিশের ভুমিকায় আশার আলো দেখছেন প্রতারিতরা। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে সে কথা জানিয়েছেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের ৩ কর্মীর পরিবারের লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, এক রেল কর্তার স্ত্রী পরামর্শে তাঁরা ওই সংস্থায় কয়েক লক্ষ টাকা লগ্নি করে ফেরত পাননি। এর আগে বহু বার থানায় গেলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও তাঁরা অভিযোগ জানান। তাঁরা প্রায় একই সুরে বলেন, “এখন পুলিশের ভুমিকা দেখে কিছুটা আশার আলো দেখছি। তাই ফের অভিযোগ জানিয়েছি।” শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “তিন রেল কর্মীর স্ত্রী আজ আমার দফতরে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। শিলিগুড়ির আইসিকে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” সরস্বতী সাহা, মায়া সাহা এবং জবা দেব নামে ওই তিন মহিলার অভিযোগ, রেলের আধিকারিকের স্ত্রী রিমি দে তাঁদের মুম্বইয়ের ওই সংস্থায় টাকা রাখার জন্য প্রস্তাব দেন। ওই তিন মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের স্বামীরা যাতে রেলের ওই আধিকারিকের কোপে না-পড়েন সেই জন্য তাঁরা ওই প্রস্তাব উপেক্ষা করতে পারেননি। সময়ে যাতে টাকা ফেরত পাওয়া যায় সেই ব্যাপারেও ওই রেল কর্তার স্ত্রী আশ্বাস দেন। মেয়াদ শেষে তাঁদের জানানো হয়, কয়েকদিন পরে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আজ পর্যন্ত টাকা ফেরত পাননি। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে রিমি দেবী বলেন, “আমি এখন বেঙ্গালুরুতে আছি। এ কথা ঠিক, যাঁরা অভিযোগ করেছেন তাঁরা টাকা পাননি। তবে আমি আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে ফেরত পাইনি। শিলিগুড়ি ফিরে গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করব।” ওই তিন মহিলার আইনজীবী সন্দীপ মণ্ডল অভিযোগ করেছেন, প্রথমে তাঁরা এই ব্যাপারে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে অভিযোগ জমা নেওয়া হয়নি। সন্দীপবাবু বলেন, “অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সমস্ত ঘটনা জানানো হয়েছে। বিচার চাইতে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।” |