থানায় গিয়ে কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত মাটিগাড়া থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার মাটিগাড়া থানায় গিয়ে এক দুষ্কৃতীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। পুলিশও কংগ্রেসের হয়ে তৃণমূল কর্মীদের উপরে অত্যাচার করছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়। কংগ্রেস বিধায়ক অবশ্য বলেন, “পুলিশ এক নিরীহ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গিয়েছে শুনে থানায় যাই। পরে ব্যক্তিগত জামিনে সে ছাড়া পায়। প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠছে কেন, বুঝতে পারছি না। অন্যায় ভাবে পুলিশ কোনও কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করলে আমি বারবার যাব।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বালাসন নদী থেকে বালি নিয়ে আঠারখাই হয়ে যাতায়াত করে প্রচুর ট্রাক। তা থেকে তোলা আদায় এবং জুয়ার বোর্ড চালানো নিয়ে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে রেষারেষি চলছে। সোমবার ওই সব বিষয় নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, তার পরই মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার থানায় যান। তিনি ধৃতদের ছাড়ার দাবি করেন। আদালতে আত্মসমর্পণের শর্তে ব্যক্তিগত জামিনে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। তৃণমূলের দাবি, যে ২ জনকে পুলিশ ধরেছিল তার মধ্যে একজন নিরীহ হলেও অন্যজন সন্দেহভাজন। শঙ্করবাবু ওই সন্দেহভাজনকে ছাড়াতেই থানায় যান। পুলিশ ধৃত ২ জনের বিরুদ্ধে মারপিটের মামলা রুজু করেছে। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিন শিলিগুড়ির পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা দার্জিলিং তৃণমূলের সহ সভাপতি রঞ্জন শীলশর্মার নেতৃত্বে থানায় যান তৃণমূল কর্মীরা। তাঁরা একটি স্মারকলিপিও জমা দেন। রঞ্জনবাবুর অভিযোগ, আঠারখাই অঞ্চলে মদ ও জুয়ার ঠেক রমরমিয়ে চলছে। বালির ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতী চক্র গড়ে উঠেছে। অন্তত ১৩টি জায়গায় বালির ট্রাক থামিয়ে সমাজসেবার নামে চাঁদা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বার বার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, “পক্ষপাতমূলক আচরণ হচ্ছে। বিধায়কের কথামতো দুষ্কৃতীকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল কর্মীদের হয়রান করছে পুলিশ। সাতদিনে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে জেলা সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনে নামা হবে।” কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার বলেন, “কে কী বলল তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না। শিলিগুড়ির মানুষ আমার রাজনৈতিক পরিচয় জানেন। রাজনীতির প্রতি, জোটের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আছে। সেটা দেখেই আমি রাজনীতি করি।” |