|
|
|
|
বড় রানের আশা জাগিয়ে ইনিংস শুরু শীতের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এই দফায় শীতের যাত্রটা শুরু হল বেশ ভাল ভাবেই।
গত এক সপ্তাহ ধরে তামাম পশ্চিমবঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ সময়ের স্বাভাবিকের কিছুটা নীচেই ঘোরাফেরা করেছে। কলকাতায় ১৯-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নগরবাসী ভোরে-রাতে কিঞ্চিৎ শীতের আমেজ টের পাচ্ছেন। আলিপুর আবহাওয়া দফতরও জানিয়ে দিয়েছে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহটা গোটা রাজ্যেই তাপমাত্রা নামার পক্ষে অনুকূল থাকবে।
রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রির নীচে নামার পরে খুব একটা বাড়েনি। মঙ্গলবার ছিল ২০.৩ ডিগ্রি। যা কি না এ সময়ের স্বাভাবিক সর্বনিম্নের ২ ডিগ্রি কম। কিন্তু ২০০৯-এ নভেম্বরের গোড়ায় তাপমাত্রা অনেকটা কমলেও ডিসেম্বর-জানুয়ারি নিরাশ করেছিল। এ বারও ইনিংস ভাল শুরু করে শীত শেষবেলায় হোঁচট খাবে না তো?
আলিপুরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন, “আগামী ক’দিন গোটা রাজ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও নামতে পারে। পশ্চিমাঞ্চল ও ডুয়ার্সে রাতে-সকালে ভাল ঠান্ডা পড়ার কথা। কলকাতাতেও আগামী দু’দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।” ডুয়ার্সে সোমবার বৃষ্টি হয়েছে। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের কোথাও কোথাও এ দিনও বৃষ্টি হয়েছে। ফলে ডুয়ার্সে ঠান্ডা জোরদার হবে বলে আবহবিদেরা মনে করছেন।
বহু বছর পরে গত শীতের মরসুমটা রাজ্যবাসী ভাল কাটিয়েছে। গত বার নভেম্বরে তাপমাত্রা সেই যে কমতে শুরু করেছিল, তা বজায় ছিল জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত। গত বছর রাজ্যে পর্যাপ্ত বৃষ্টিও হয়নি। তবু শীত যে ভাবে লম্বা ইনিংস খেলেছে, তাতে এ বারের শীত আরও আশা জোগাচ্ছে। এক আবহবিদের কথায়, “গত বার অক্টোবরের শেষ কিংবা নভেম্বরের গোড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ বারের মতো এতটা কমেনি। তাই এ বার জব্বর শীতের আশা করাই যায়।”
দিল্লির মৌসম ভবনের এক আবহবিদ জানাচ্ছেন, এ বার সারা দেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে মধ্য অক্টোবরে। তার পরে তেমন শক্তিশালী নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি না-হওয়ায় বাতাসে জলীয় বাষ্প কমেছে। আকাশে হাল্কা মেঘ থাকলেও বৃষ্টি নামাতে পারেনি। অন্য দিকে, উত্তর ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার হানা শুরু হয়ে গিয়েছে। তার জেরে কাশ্মীরে এক দফা বরফও পড়েছে। উত্তর ভারতের সর্বত্র তাপমাত্রা নামছে। যা পূর্ব ভারতের পক্ষে সুখবর।
শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তান হয়ে আরও পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাশ্মীরে ঢোকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবহবিদেরা বলছেন, এতে উত্তরে তাপমাত্রা আরও কমবে। তার আঁচ পড়বে পূর্ব ভারতে। পূর্বে জাঁকালো শীতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে একমাত্র বঙ্গোপসাগরের কোনও নিম্নচাপ বা শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত।
তবে এই মুহূর্তে তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদেরা।
|
|
চার বছরের ৩ দিন |
|
২০০৮ |
২০০৯ |
২০১০ |
২০১১ |
৩০ অক্টোবর |
২২.৪ (*) |
১৯.২ (-৩) |
২১.৮ (*) |
১৮.৯ (-৩) |
৩১ অক্টোবর |
২০.৮ (-১) |
১৯.৯ (-২) |
২৩.৪ (+১) |
২২.২ (*) |
১ নভেম্বর |
২২.৩ (*) |
২১.৮ (*) |
২৪.২ (+২) |
২০.৩ (-২) |
* সংশ্লিষ্ট সময়ের স্বাভাবিক |
তাপমাত্রা ডিগ্রি সেলসিয়াসে |
|
|
|
|
|
|