টুকরো খবর
পাট পুড়িয়ে সহায়ক মূল্য বাড়ানোর দাবি
পাট পুড়িয়ে, জাতীয় সড়ক অবরোধ করে পাটের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানালো এসইউসি। মঙ্গলবার দুপুরে এসইউসি-র জেলা কৃষক ও ক্ষেত মজুর সংগঠনের তরফে বহরমপুর গির্জার মোড়ে পাট পোড়ানো হয়। সেই সঙ্গে গির্জার মোড়ে আধ ঘন্টার জন্য জাতীয় সড়কও অবরোধ করে তারা। এর পরে কৃষি ভবন দফতরে গিয়ে জেলা কৃষি আধিকারিকের কাছে ছ-দফা দাবি জানিয়ে সংগঠনের তরফে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। জেলা কৃষক ও ক্ষেত মজুর সংগঠনের অফিস সম্পাদক দিলীপ দাস বলেন, “পাটের সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করার দাবি-সহ জেলার প্রতিটি চাষিকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতান আনা থেকে সারের কালোবাজারি রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে পাট কেনার দাবিও জানানো হয়।” দিলীপবাবুর দাবি, “জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে পাট কেনার কথা। কিন্তু তারা দালালের মাদ্যমে পাট সংগ্রহ করায় পাটের সঠিক দাম পান না পাটচাষিরা। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় তাঁদের।”
বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
তবে এদিন স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে দু-ঘন্টা কৃষি দফতরের আধিকারিককে ঘেরাও করে রাখা হয় বলেও দাবি ওই সংগঠনের। কৃষি দফতরের জেলা আধিকারিক শ্যামল মজুমদার বলেন, “রাজ্য সরকারে সিদ্ধান্ত নিয়ে পাটের সহায়ক নির্ধারণ করেছে ১৭৬০ টাকা। ওই সহায়ক মূল্য ৫ হাজার টাকা করার দাবি জানায় ওই সংগঠনের তরফে। কিন্তু এক্ষেত্রে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার রাজ্য সরকার নেবে। আমাদের করণীয় কিছু নেই।”

রাসে নবদ্বীপে ‘এক জানলা’ ব্যবস্থা চালু
রাসের আয়োজনের জন্য বিভিন্ন দফতরের অনুমতি দিতে ‘এক জানলা’-র ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, “রাসের জন্য এক জায়গা থেকে সব অনুমতি দেওয়ার দাবি অনেক দিন থেকেই ছিল। এই বার রাসে তা কার্যকরী হচ্ছে। নবদ্বীপ থানায় এসে সব দফতর কাজ করছে। অনুমতি সেখান থেকেই পাবেন উদ্যোক্তারা।” সাধারণ ভাবে রাসের জন্য আয়োজকদের পুরসভা, বিদ্যুৎ, দমকল, পুলিশ, বিডিও সহ একগুচ্ছ অনুমতি নিতে হয় উদ্যোক্তাদের। প্রতিটি দফতরের অফিস এক এক জায়গায়। কোনওটা নবদ্বীপে, কোনওটা কৃষ্ণনগরে, কোনওটা মহেশগঞ্জে। আলাদা করে টাকা জমা দেওয়া ও অনুমতি নিতে তাই আয়োজকদের সমস্যায় পড়তে হত। নবদ্বীপের পুরপ্রধান তৃণমূলের বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, “আমরা অনেকদিন ধরেই দাবি করছিলাম যে, এক জানলা ব্যবস্থা চালু হোক। যাতে এক জায়গা থেকেই সব অনুমতি দেওয়া যায়। এ বারের রাস নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকের সময়েও সেই কথা উঠেছিল। এক জানলা চালু হলে উদ্যেক্তাদের অনেক পরিশ্রম কমবে।” নবদ্বীপ কেন্দ্রীয় রাস উৎসব কমিটির দিলীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রথমে পুরসভা তারপরে বিদ্যুৎ দফতরের অনুমতি নিতে হত। সেগুলো পাওয়া গেলে দমকলের অনুমতি। তার জন্য অর্থ জমা দিতে হত কৃষ্ণনগরে গিয়ে। তারপরে পুলিশ এবং সবশেষে মহকুমাশাসকের অনুমোদন। এ বারে নবদ্বীপ থানায় গিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যেরা এবং বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা যাবতীয় অনুমতির কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন। তবে দমকলের টাকা কৃষ্ণনগরেই গিয়ে জমা দিতে হবে। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির তরফেই তা জমা দেওয়া হবে, উদ্যোক্তাদের যেতে হবে না।”

মহিলাদের উদ্যোগে জগদ্ধাত্রী পুজো
সংসার সামলানো থেকে পুজোর প্রস্তুতি, সবটাই একা হাতে সামলান তাঁরা। জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রতিমা নিয়ে আসা থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত সব কাজই করেন রানাঘাট আমলকিতলার মহিলা সমিতির সদস্যরা। বছর ছ’য়েক আগে তাঁদের উদ্যোগেই এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজোর শুরু। জাঁকজমক সে ভাবে না থাকলেও সকলে মিলে পুজো করার আনন্দ আর নিষ্ঠার সঙ্গে দেবীর আরাধনাই এই পুজোর মূল কথা। মহিলা সমিতির সদস্যারা জানালেন, অষ্টমীর দিন সকালে মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে আসা হয়। নবমীর দিন পুজো হয়। আর সন্ধ্যায় হয় প্রসাদ বিতরণ। দশমীর দিন শোভাযাত্রা করে বিসর্জন হয় দেবীর। সামিল হন এলাকার মানুষ। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জলি মৌলিক বলেন, “দুর্গাপুজো করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই সবাই মিলে জগদ্ধাত্রী পুজো করি। আমাদের মোট ৪২ জন সদস্য। প্রতিদিন বিকেলেই প্রায় ১৫ জন করে চাঁদা তুলতে গিয়েছি।” সমিতির আর এক সম্পাদক ছবি সিনহা বলেন, “সদস্যরাই বেশি টাকা দিয়েছেন। বাকি চাঁদা এলাকা থেকে সংগ্রহ করেছি আমরা।” এ ছাড়াও রানাঘাটের সড়ক পাড়ায় ধুমধাম করে হচ্ছে চক্রবর্তী পরিবারের পুজো। চাকদার শিমুরালি টাইগার অ্যাসোসিয়েশনের পুজো এ বার ন’বছরে পড়ল। এখানে চার দিন ধরে পুজো করা হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

ভষ্মীভূত ৬টি বাড়ি
বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ভষ্মীভূত হল ৬টি বাড়ি। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে লালগোলার রামচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের হোসেনপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। এলাকার কয়েকটি বাড়ির উপরে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ পরিবাহী তার রয়েছে। সেই তার ছিঁড়েই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রথমে একটি বাড়িতে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে ৬টি বাড়ি ভষ্মীভূত হয়। বাড়িতে সেই সময়ে বেশি লোক জন ছিল না। বাড়ির সমস্থ আসবাবই পুড়ে গিয়েছে। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে এলাকার বাসিন্দারাই জল ঢেলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাজাহান আলি বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। দমকলকেও খবর দেওয়া হয়েছে।”

বোমা উদ্ধার, ধৃত ৪
আড়াইশোটি বোমা এবং ১০ কিলো বারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে সুতির মালো পাড়া ও খিদিরপুর থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুই গ্রামের ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চার জনের বাড়িতেই ড্রামের মধ্যে বোমা ও বারুদ রাখা ছিল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.