করিমপুর থেকে গেল করিমপুরেই। পুজোর ক’দিন যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ছিলেন করিমপুরবাসী। কিন্তু পুজো ফুরোতেই চেনা চেহারা নিয়ে হাজির যানজট।
নতিডাঙা মোড় থেকে নাটনা মোড় পর্যন্ত যানবাহনের ভিড় লেগেই থাকে। তবে সব থেকে বেশি যানজটের মুখে পড়তে হয় করিমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড না থাকায় বেশিরভাগ বাস দাঁড়ায় বাসস্ট্যান্ড এলাকার রাস্তার দু’পাশে। সে দিক দিয়ে অন্য যানবাহন যেতে গেলেই যানজট তৈরি হয়। গত কয়েক বছরে করিমপুরের জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন্য যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও রাস্তা বাড়েনি।
করিমপুরের প্রবীণ ব্যবসায়ী প্রদীপ সাহা বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে সাইকেলে চেপে দোকান যাই। কিন্তু এই কদিন রাস্তায় যে ভাবে ভিড় হচ্ছে, সাইকেল নিয়ে বেরোতেই ভয় লাগছে। আমাদের মত বয়স্ক মানুষদের রাস্তায় চলাফেরা করা দায় হয়ে পড়েছে’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, করিমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সকলের চোখের সামনেই দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তার উপরে বাস, ট্রেকার দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানো নামানো করা হয়। এ ছাড়াও নাটনা কিংবা নতিডাঙা মোড় পর্যন্ত বহু জায়গায় বাস থামিয়ে যাত্রী তোলেন বাসকর্মীরা। এ ছাড়াও ট্রান্সপোর্টের গাড়িগুলো অর্ধেকের বেশি রাস্তা দখল করে এলাকায় দোকানে দোকানে পণ্য নামানোর কারণেও যানজট তৈরি হয়।
করিমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কংগ্রেসের তারক সরখেল ও করিমপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিধান দত্ত জানান,‘‘ মাসকয়েক আগে করিমপুর লরি মালিক সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির লোকজনদের নিয়ে একটি আলোচনায় বসা হয়েছিল। সেখানে ঠিক হয় করিমপুর রেগুলেটেড মার্কেটের ভিতর ট্রান্সপোর্টের গাড়িগুলো মাল নামাবে। তাহলে কিছুটা হলেও যানজট কমবে তবে সে বিষয়ে কিছু সমস্যা থাকায় এখনও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা আবার এই বিষয়ে একটি বৈঠক করব। তবে যানজটের অন্যতম মূল কারণ স্থায়ী বাসস্ট্যান্ডের অভাব। সেটা না হওয়া পর্যন্ত যানজটের সমস্যা মিটবে না।’’
তেহট্টের মহকুমাশাসক অচিন্ত্যকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘সম্প্রতি করিমপুরের সর্বস্তরের মানুষদের নিয়ে আমরা বাসস্ট্যান্ডের ব্যাপারে বৈঠক করেছি। করিমপুরের রেগুলেটেড মার্কেটের ভিতর টার্মিনাস তৈরি করার জন্য রাজ্যের বিপণন দফতরের কাছে জায়গা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার থেকে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে যানজট ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সকাল সাড়ে নটা থেকে প্রায় ঘন্টাখানেক পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। |