|
|
|
|
দাসপুরে নিষ্ক্রিয় পুলিশ |
তৃণমূলের হুমকি, সঙ্কটে সিপিএম-সমর্থক পরিবার |
নিজস্ব সংবাদাতা • ঘাটাল |
সিপিএম সমর্থক পরিবারের উপর তৃণমূলের অত্যাচারের অভিযোগ অব্যাহত পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। আদালতের নির্দেশেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পুলিশও সক্রিয় হয়নি বলে অভিযোগ।
সিপিএমের দাসপুর জোনাল কমিটির সদস্য শীতল করণের বাড়ি লঙ্কাগড় সংলগ্ন রামদাসপুরে। শীতলবাবু স্থানীয় হরিরাজপুর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। অভিযোগ, তৃণমূলের হুমকিতে দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্কুলে যেতে পারছেন না। দোকান খুলতে পারছেন না তাঁর ভাইরা। সমস্যা সমাধানে গত ১ অক্টোবর আদালতের দ্বারস্থ হন শীতলবাবু ও তাঁর পরিজনেরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশও দিয়েছিল আদালত। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। সোমবার ঘাটালের মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে সব জানিয়েছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী ফের পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে মঙ্গলবারও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। দাসপুর থানায় ওসি অভিজিৎ বিশ্বাস অবশ্য বলেন, “দু’একদিনের মধ্যেই দোকান খোলার ব্যবস্থা করা হবে।” আর পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠির বক্তব্য, “বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেব।” শীতলবাবুর অভিযোগ, তৃণমূলের আঞ্চলিক-স্তরের নেতারাই জুলুমে যুক্ত। মামলা তুলে নেওয়ার জন্যও তাঁরা নিয়মিত চাপ দিচ্ছেন।” বিষয়টি তৃণমূল জেলা নেতৃত্বেরও অজানা নয়। দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “ঘটনার কথা শুনেই স্থানীয় নেতাদের ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। কিন্তু এখনও কেন দোকান বন্ধ রয়েছে বুঝতে পারছি না। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এলাকার তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় বিধায়ক অজিত ভুঁইয়া অবশ্য এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে নারাজ। তাঁর সাফ কথা, “ওঁরা (শীতলবাবুরা) বার বার আদালত, পুলিশ-প্রশাসনে লিখিত ভাবে জানাচ্ছেন। তা হলে প্রশাসনই দোকান খোলার ব্যবস্থা করুক।” |
|
|
|
|
|