|
|
|
|
পটাশপুরে রাস্তা সংস্কারের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
দীর্ঘ দিন সংস্কার হয়নি। তাই খানাখন্দ, বড়-বড় গর্তে ভরে গিয়েছে বহড়দা থেকে পঁচেট হয়ে ভৈরবদারি পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তা। বড় গাড়ি, ট্রাক, বাস চলা তো দূর অস্ত, সামান্য ভ্যানরিকশা, সাইকেল চালানোই দুর্বিষহ। বেহাল রাস্তায় ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।
অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর নির্ভর করে রয়েছে পটাশপুর-২ ব্লকের খাড়, পঁচেট ও সাঁউৎখণ্ড পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ। বিশেষ করে পঁচেট মোড় থেকে স্থানীয় বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। ফলে ওই রাস্তায় প্রায়ই বন্ধ থাকে যান চলাচল। গাড়ি চালাতে চান না বাস মালিকেরা। এ দিকে, পঁচেট বাজারে রয়েছে দুশোরও বেশি দোকান। রয়েছে স্কুল, ব্যাঙ্ক, পোস্টঅফিস, সমবায় সমিতি, বিদ্যুৎ দফতর। রয়েছে জেলার অন্যতম পর্যটনস্থল পঁচেটগড় রাজবাড়ি ও অন্য স্থাপত্য। সেখানে সারা বছরই কমবেশি পর্যটকেরা আসেন। কিন্তু রাস্তা খানাখন্দে ভর্তি। মাঝেমধ্যে বাস ও অন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন গ্রামবাসী এবং এলাকায় বেড়াতে আসা মানুষ। |
|
ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
এই তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাপক ভাবে চাষ হয় বাদাম ও নানা ধরনের সব্জি। এলাকার মূল রাস্তাটি খারাপ থাকায় পণ্য পরিবহণ নিয়ে সমস্যায় পড়েন চাষিরা। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যার কথা বারবার প্রশাসনে জানিয়ে লাভ হয়নি। পঁচেট পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রধান নাজিবুর মল্লিকের কথায়, “পঞ্চায়েত বামেদের দখলে। সে জন্যই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ এই রাস্তাকে গুরুত্ব দেয় না।” পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য এলাকার বাসিন্দা মনোহর প্রামাণিক বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। রাস্তাটি বরাবরই অবহেলিত। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ কেউই রাস্তা খারাপের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় না। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানানো হচ্ছে। কোনও সাড়া মেলেনি।” জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন ও পটাশপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের চন্দন সেন বলেন, “রাস্তাটি সত্যিই খারাপ। রাজ্য সরকারের কাছে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে। তবে আপাতত রাস্তায় মোরাম দিয়ে যান চলাচলের যোগ্য করা হবে।” |
|
|
|
|
|