|
|
|
|
বিচারকের কাছে বয়ান খেজুরির সেই মাঝিদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক ও হলদিয়া |
সিআইডি-র জেরার পর এ বার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিলেন খেজুরির সেই মাঝিরা। ২০০৭-এর ১০ নভেম্বর সিপিএমের নন্দীগ্রাম ‘পুনর্দখল’-পর্বে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির যে কর্মী-সমর্থকেরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের দেহ খেজুরিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে দেহগুলি ট্রলারে বঙ্গোপসাগরে নিয়ে গিয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। দেহ ভাসানোর সেই ‘কাজে’ জড়িত সন্দেহেই খেজুরি-২ ব্লকের কটকা-শ্যামপুর গ্রামের মাঝি মানিকলাল দাস, মদন বর এবং উত্তম বরকে সোমবার খেজুরি থানায় ডেকে জেরা করেছিলেন তাজ মহম্মদের নেতৃত্বে সিআইডি অফিসারেরা। এলাকায় সিপিএম কর্মী হিসাবেই পরিচিত উত্তমবাবুর এক সময়ে নিজেরও ট্রলার ছিল বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এই তিন জনকেই মঙ্গলবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে নিয়ে যায় সিআইডি। সেখানে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পবিত্র সেনের কাছে জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন ওই তিন জন।
এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ খেজুরির রসুলপুরের বোগাঘাট থেকে গাড়িতে চাপিয়ে তাঁদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় নন্দীগ্রামের কেন্দেমারি ঘাটে। সেখান থেকে নৌকায় নদী পেরিয়ে হলদিয়ায়। বিকেলে সিআইডি-র নিরাপত্তাতেই তাঁদের গ্রামে ফেরৎ নিয়ে যাওয়া হয়। ডিএসপি তাজ মহম্মদই ছিলেন সিআইডি দলের নেতৃত্বে। সিআইডি সূত্রের খবর, পেশায় মাঝি এই তিন জনের বক্তব্য ভূমি-কমিটির ৯ জনের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার অভিযোগের তদন্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের নিয়ে খেজুরির একাধিক জায়গায় সরেজমিন তদন্তেও যেতে
পারে সিআইডি।
মঙ্গলবারই আবার লৌহ-আকরিকের জুয়াচুরির মামলায় ধৃত হলদিয়ার সিপিএম নেতা শেখ মজফ্ফরের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল তমলুক জেলা আদালতে। জেলা বিচারক শ্যামল গুপ্ত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। আগামী ৫ নভেম্বর ফের হলদিয়ার এসিজেএম আদালতেই হাজির করা হবে লক্ষ্মণ শেঠ-ঘনিষ্ঠ জেলবন্দি এই সিপিএম নেতাকে। |
|
|
|
|
|