|
|
|
|
বিদ্যাসাগরে দায়িত্ব নিলেন নতুন উপাচার্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হয়ে এলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী। মঙ্গলবারই তিনি কাজে যোগ দেন। নতুন উপাচার্য প্রথম দিনই জানান, গবেষণার মানোন্নয়নে জোর দিতে চান তিনি। উচ্চশিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গবেষণা জরুরি বিষয়। এ জন্য সব বিভাগের কাজকর্ম ও উদ্যোগ খতিয়ে দেখতে তিনি নিজে প্রতিটি বিভাগেও যাবেন। উপাচার্য বলেন, “গবেষণার ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারলে সব ক্ষেত্রেই উন্নতি সম্ভব।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের এই অধ্যাপক দীর্ঘ দিন ধরেই সুনামের সঙ্গে পড়িয়েছেন। তাঁর লেখা বেশ কয়েকটি বইও রয়েছে। পরিবেশের ইতিহাসেই তাঁর বেশি আগ্রহ। বর্তমানে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বিভাগ---ইংরাজি, উদ্ভিদবিদ্যা, রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞান ‘স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোজেক্টে’র (স্যাপ) আওতায় রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় থাকলে গবেষণার জন্য একটি বিভাগ ৫ বছরে ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পায়। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
এমনকী এই প্রকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ও ‘ওভারহেড এক্সপেন্ডিচার’ বাবদ অর্থ পায়। যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়নও সম্ভব। যাতে আরও কয়েকটি বিভাগকে ‘স্যাপে’র আওতায় আনা যায় সে জন্য উদ্যোগী হবেন বলেও জানিয়েছেন নতুন উপাচার্য। তাঁর কথায়, “যদিও এটা দু’একদিনের কাজ নয়। এর জন্য সময় লাগবে। কিন্তু চেষ্টা তো চালিয়ে যেতে হবে। তাই সামনের সপ্তাহ থেকেই আমি প্রতিটি বিভাগে যাব। বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলব। সমস্যা জানা ও নতুন পরিকল্পনা তৈরির পাশাপাশি কী কী কাজ হচ্ছে তা জানব। কী ভাবে আরও ভাল করা যায় সে নিয়েও সবার সঙ্গে মিলে ভাবনাচিন্তা করব।”
প্রতিটি শিক্ষকই যাতে গবেষণার দিকে আগ্রহী হন, তার উপরেও জোর দিয়েছেন উপাচার্য। তাঁর কথায়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে। তাতে পঠনপাঠনের পরিধিও বাড়বে।”
শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত সেমিনার, আলোচনাসভা আয়োজন, পরীক্ষার নিয়মিত ফলপ্রকাশ, গ্রন্থাগারের উন্নয়নেও উদ্যোগী হওয়ার কথা জানিয়েছেন নতুন উপাচার্য। নতুন উপাচার্যকে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, কর্মীরা ফুলের তোড়া দিয়ে সাদরে অভ্যর্থনা করেন। বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ভুটা) পক্ষ থেকে সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন হলে এক অনুষ্ঠানে তাঁকে সংবর্ধনাও জানানো হয়। ভুটার যুগ্ম-সম্পাদক ইন্দ্রানী দত্তচৌধুরী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে উপাচার্যকে সব রকম ভাবে সাহায্য করব।” |
|
|
|
|
|