চার্চিল ব্রাদার্স- ১ (লালরিন্দিকা)
প্রয়াগ ইউনাইটেড- ১ (শঙ্কর) |
উল্টে দেখুন পাল্টে গিয়েছে।
ওপরের স্কোরলাইন দেখলে হয়তো পরিবর্তনের কোনও ছাপ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু প্রয়াগ ইউনাইটেডের পরপর তিনটি আই লিগ ম্যাচের খুঁটিনাটি নিয়ে নানা আলোচনা করতেই বেরিয়ে এল বদলের ছবি। স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়া এবং ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে এগিয়ে থেকে গোল হজম করেছিল প্রয়াগ। চার্চিলের বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকে গোল শোধ দিল সঞ্জয় সেনের দল। এত দিন ম্যাচ ড্র হলেই যাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছিল, “এই ড্র আমাদের কাছে আসলে হার”, সেই প্রয়াগ কোচ মঙ্গলবার শেষ মুহূর্তে শঙ্কর ওঁরাওয়ের গোলে ম্যাচ ১-১ করার পর বললেন, “এক পয়েন্ট পেলেও এটা আমাদের কাছে জয়।” |
প্রয়াগের দুই নির্ভরযোগ্য ফুটবলারের মহা ভুলের খেসারত দিতে হল গোটা দলকে। ম্যাচের বয়স তখন পনেরো। ইউনাইটেডের বেলো রজাকের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের সুযোগে গোলে শট নেন লালরিন্দিকা। অভিজিৎ মণ্ডল তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে পায়ের তলা দিয়ে গলিয়ে দিলেন সেটা। দু’জনের এই অপ্রত্যাশিত ভুলে ভেঙে পড়ল সঞ্জয়ের মাঝমাঠ ও রক্ষণ। চার্চিলের আক্রমণের স্রোতে ম্যাচের আশি মিনিট পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গেল না লালকমল-ডেনসনদের। ম্যাচের পর হতাশ চার্চিল কোচ বললেন, “তিন পয়েন্টই পাওয়া উচিত ছিল।” গোমসের আশায় আসলে জল ঢাললেন শঙ্করই। ম্যাচের শেষ লগ্নে একটা বিশ্বমানের গোল উপহার দিলেন। দুর্ভাগ্য, তাঁর শূন্যে ডিগবাজি খাওয়ার দৃশ্যটা উপভোগ করার জন্য মাঠে একটাও লোক ছিল না।
গোমসের প্রধান তারকা বেটো নেই। নেই বিনীশ বালান, মহম্মদ রফি। চার্চিলকে হারানোর এ রকম সুবর্ণ সুযোগ আর কবে পাবেন লালকমলরা?
|