|
|
|
|
জগদ্ধাত্রী পুজোতেও ‘কুশীলব’ সেই নেতা-নেত্রীরাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
উদ্যোক্তাদের মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আধিপত্য দেখা যায় দুর্গা ও কালীপুজোয়। কেউ পুজো কমিটির সভাপতি, তো কেউ উপদেষ্টামণ্ডলীতে। এ বার জগদ্ধাত্রী পুজোতেও সেই প্রবণতা। মেদিনীপুরে অধিকাংশ জগদ্ধাত্রী পুজোর সঙ্গেই জড়িয়ে গিয়েছে নেতা-নেত্রীদের নাম। তাঁদের নামেই যেন এক-একটি পুজোর পরিচিতি। তালিকায় আছেন বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও। মণ্ডপ তৈরি থেকে পুজোর পরিবেশ সবই দেখভাল করতে হচ্ছে তাঁদের।
শহরের বিবিগঞ্জ সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোর এ বার ১৯তম বর্ষ। বছর পাঁচ-ছয়েক আগেও জগদ্ধাত্রী পুজো বলতে সকলে এককথায় বিবিগঞ্জের নামই করতেন। উৎসবের দিনগুলোয় এখানে মানুষের ঢল নামত। আলোর কারসাজিতে তুলে ধরা হত সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এখন শহরে সর্বজনীন জগদ্ধাত্রীর চল বেড়েছে। তবে বিবিগঞ্জে ঢল এতটুকু কমেনি। এ পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কংগ্রেস কাউন্সিলর শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। পুজো উপলক্ষে এখানে শীতবস্ত্র বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-সহ নানা আয়োজন থাকে। এ বারও থাকছে। পাড়ার ছেলেমেয়েরাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবে। থাকছে বাউল গানের আসর। আজ, বুধবার পুজোর উদ্বোধন। শম্ভুবাবুর কথায়, “এই পুজো শহরবাসীর। সকলের সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব নয়।” |
|
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শিল্পী। মেদিনীপুরের গোলকুয়াচকে মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
গত তিন বছর ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে বক্সীবাজারে। অন্যতম উদ্যোক্তা তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাণ্ডব। এই পুজোকে ঘিরে এলাকায় সাজ সাজ রব। মণ্ডপ ও আশপাশের এলাকা রঙিন আলোয় সাজানো হচ্ছে। প্রথা মেনে এখানে কুমারী পুজোও হয়। দশমীর দিন কুমারীকে নিয়ে বেরোয় শোভাযাত্রা। বিশ্বনাথবাবুর কথায়, “এই পুজো সকলের। সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও যতটা সম্ভব, আয়োজনের চেষ্টা করি। থাকে পঙক্তি ভোজও।” পাহাড়িপুর ‘কিশোর সংঙ্ঘ’ ক্লাবের পুজোয় জড়িয়ে আছে প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর সৌমেন খানের নাম। প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এখানেও মণ্ডপের আশপাশ সুদৃশ্য আলোয় সেজে উঠেছে। সৌমেনবাবু বলেন, “এলাকার সকলেই সাধ্যমতো সহযোগিতা করেন। উৎসাহ দেন।” পুজো উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ, কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তারা। |
|
পিছিয়ে নেই মেদিনীপুরের মহিলা কাউন্সিলাররাও। শহরের কর্নেলগোলার ‘নবীন-প্রবীণ’ ক্লাবের উদ্যোগে জগদ্ধাত্রী পুজের এ বার পুজোর নবম বর্ষ। পুজো কমিটির সভাপতি গৌরী ঘোষ। গৌরীদেবী এলাকার তৃণমূল কাউন্সিল, প্রাক্তন পুরপ্রধানও বটে। কাল, বৃহস্পতবার পুজোর উদ্বোধন হবে। বস্ত্র বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এখানে আতসবাজি প্রদর্শনের আয়োজন থাকছে। শহরের সিপাইবাজার গির্জাপাড়া এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজো করে ‘খ্রিস্টান-হিন্দু-মহামেডান’ অ্যাসোসিয়েশন। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুর। তৃণমূল কাউন্সিলর দেবী চক্রবর্তী পুজো কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা। তাঁর কথায়, “পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে কার না- ভাল লাগে। পুজো তো আমাদের সকলের। যতটা পারি, সহযোগিতা করি।” |
|
|
|
|
|