ডানলপ নিয়ে অচলাবস্থা এখনও কাটেনি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সাহাগঞ্জে ডানলপ কারখানা খোলার বিষয়টি ঝুলেই রইল। মঙ্গলবার মহাকরণে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক পুরোপুরি তুলে না-নিলে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রশ্নই উঠছে না। তিনি বলেন, সম্প্রতি ডানলপ কর্তৃপক্ষ একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা কারাখানার শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে চাইছেন কিন্তু শ্রমিক সংগঠনগুলি রাজি হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে পূর্ণেন্দুবাবুর বক্তব্য, “মালিকপক্ষের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে শ্রমিক সংগঠনগুলিকে আমি নির্দেশ দিতে পারি না, অনুরোধ করতে পারি। তবে, সরকার যে শর্ত দিয়েছে তা মেনে একজন শ্রমিককেও কারখানার বাইরে না-রেখে আগে কর্তৃপক্ষ কারখানা খুলুন। তার পর বৈঠক করা যাবে।” এ ছাড়াও তিনি এ দিন জানিয়েছেন, ডানলপের কাছে বিভিন্ন খাতে কত টাকা রাজ্যের পাওনা, তা জানতে ওই সংক্রান্ত কাগজপত্র তিনি চেয়ে পাঠিয়েছেন। পূণের্র্ন্দুবাবুর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ডানলপ কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘‘আমরা সাহাগঞ্জ কারখানা খোলার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে জমা দিয়েছি। জানানো হয়েছে, পর্যায়ক্রমে উৎপাদন শুরু করা হবে। তা ছাড়া বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির ব্যাপারেও রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কর্মীদের সঙ্গে নতুন দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি করার প্রস্তাব-সহ রয়েছে আরও কিছু বিষয়।” |
পারিবারিক বিবাদেই বালক খুন হরিপালে
নিজস্ব সংবাদদাতা • হরিপাল |
নিখোঁজ বালকের খোঁজে হইচই পড়ে গিয়েছিল পাড়ায়। এ দিক ও দিক ছড়িয়ে -ছিটিয়ে খোঁজাখুঁজি করছিলেন সকলে। তখনই দেখা গেল, পড়শি এক প্রৌঢ় বাড়ির পিছনের পাতকুয়োর পাড়ে বসে। যা দেখে সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই প্রৌঢ়কে। শেষমেশ ওই পাতকুয়ো থেকেই উদ্ধার হয় বছর দশেকের সৌরভ ধারার দেহ। গ্রেফতার হন নিরাপদ বাগ নামে ওই প্রৌঢ়, তাঁর দুই ছেলে, জামাই -নাতি -সহ ৬ জন। সৌরভদের বাড়ি হরিপালের পূর্ব নারায়ণপুরে। পুলিশ জানায়, ওই এলাকাতেই অন্যের জমিতে চাষ করতেন সৌরভের বাবা দিলীপবাবু। পরে সেই জমিতে চাষ শুরু করেন নিরাপদবাবু। তা নিয়ে দুই পরিবারে বিবাদ ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দিলীপবাবুকে ‘শায়েস্তা’ করতেই তাঁর ছেলেকে খুনের ছক কষেন নিরাপদবাবুরা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কালীঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল সৌরভ। নিরাপদবাবুদের বাড়ির সামনের পুজো প্রাঙ্গনে তাকে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, নির্জন জায়গায় ছেলেটিকে ভুলিয়ে -ভালিয়ে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। তার মাথার পিছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। শনিবার উদ্ধার হয় দেহ। ওই দিনই ধরা পড়েন ৬ জন। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা খুনের কথা কবুল করেছেন। পুলিশকে তাঁরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিনেও দু’টি পরিবারের মধ্যে অশান্তি হয়। |
দুর্ঘটনায় মৃত যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
ছটপুজো উপলক্ষে গঙ্গা থেকে ফেরার পথে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীরামপুরের নেতাজি সুভাষ অ্যাভেনিউতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাহুল ভুঁইয়া (২৬ )। বাড়ি শ্রীরামপুরের দীনেন ভট্টাচার্য স্ট্রিটে। এ দিন বিকেলে তিনি গঙ্গার ঘাটে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় সেখান থেকে ফেরার সময় ৩ নম্বর রুটের একটি বাসের পিছনের চাকায় তিনি চাপা পড়েন। |