১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হুগলির এলিট কো-এড বিদ্যালয়। বর্তমান সমাজের প্রয়োজনের তাগিদে বিদ্যালয়টিতে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হয়। মাত্র ৫ জন শিক্ষক এবং ৩৪ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে ব্যান্ডেল জংশন থেকে মাত্র দেড় কিমি দূরে বিক্রমনগরে নিজের বাড়িতে পড়াশোনার কাজ শুরু করেছিলাম। কালক্রমে এলিট কো-এড এডুকেশনাল সোসাইটির পরিচালনায় বিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। ২০০৬ সালে বিদ্যালয়টি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদন পায়। এ বছর এটি একাদশ শ্রেণির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের অনুমোদন পেয়েছে। বর্তমান সমাজের প্রয়োজনকে মাথায় রেখে চিরাচরিত প্রথাগত শিক্ষাপ্রদান ছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন শিল্পকলায় পারদর্শী করে তোলা হয়। |
যেমন সঙ্গীত, নৃত্য, অঙ্কন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের উৎসাহী করে তোলা হয়। চারতল বিশিষ্ট দু’টি গৃহে রয়েছে বিশাল গ্রন্থাগার, ইন্টারনেট-সহ কম্পিউটার, পদার্থবিদ্যা-রসায়নবিদ্যা-জীববিদ্যা-ভূগোলের ল্যাবরেটরি। শিক্ষাকে ছাত্রদের কাছে অধিক আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বিদ্যালয় প্রতি বছর আয়োজন করে এক শিক্ষামূলক ভ্রমণ। শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য যদি হয় সুস্থ জীবনবোধের উজ্জীবন, খেলাধূলার গুরুত্ব সেখানে সর্বাধিক। তাই বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ছাত্ররা যোগব্যায়াম ও বিভিন্ন ক্রীড়ায় পারদর্শী হয়ে ওঠে। বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দেয়। প্রতি বছর আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর যোগদান বাধ্যতামূলক। মানুষের শৈশবই হল নিয়মানুশীলনের এক মাহেন্দ্রক্ষণ। তাই বিদ্যালয়ে কঠোর ভাবে নিয়মানুশীলতা পালন করা হয়। পরবর্তী জীবনে ছাত্ররাই দায়িত্বশীল নাগরিক। তাই ছাত্র জীবনের কাছে আজও এই নিয়মানুশীলন এক মহৎ কর্তব্য। শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সমবেত প্রচেষ্টায় ছাত্র-ছাত্রীরা মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেখাতে পারে তাদের মেধার প্রকাশ। |