আমাদের স্কুল
এলিট কো-এড স্কুল
ছাত্র-ছাত্রী: ৮৫০ জন
শিক্ষক-শিক্ষিকা: ৩২।
শিক্ষাকর্মী: ৫ জন।
২০১১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী: ৩২ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে সকলেই।


সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে
যোগদান বাধ্যতামূলক

পূর্ণেন্দুশেখর কর

১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হুগলির এলিট কো-এড বিদ্যালয়। বর্তমান সমাজের প্রয়োজনের তাগিদে বিদ্যালয়টিতে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হয়। মাত্র ৫ জন শিক্ষক এবং ৩৪ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে ব্যান্ডেল জংশন থেকে মাত্র দেড় কিমি দূরে বিক্রমনগরে নিজের বাড়িতে পড়াশোনার কাজ শুরু করেছিলাম। কালক্রমে এলিট কো-এড এডুকেশনাল সোসাইটির পরিচালনায় বিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। ২০০৬ সালে বিদ্যালয়টি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদন পায়। এ বছর এটি একাদশ শ্রেণির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের অনুমোদন পেয়েছে। বর্তমান সমাজের প্রয়োজনকে মাথায় রেখে চিরাচরিত প্রথাগত শিক্ষাপ্রদান ছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন শিল্পকলায় পারদর্শী করে তোলা হয়।
যেমন সঙ্গীত, নৃত্য, অঙ্কন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের উৎসাহী করে তোলা হয়। চারতল বিশিষ্ট দু’টি গৃহে রয়েছে বিশাল গ্রন্থাগার, ইন্টারনেট-সহ কম্পিউটার, পদার্থবিদ্যা-রসায়নবিদ্যা-জীববিদ্যা-ভূগোলের ল্যাবরেটরি। শিক্ষাকে ছাত্রদের কাছে অধিক আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বিদ্যালয় প্রতি বছর আয়োজন করে এক শিক্ষামূলক ভ্রমণ। শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য যদি হয় সুস্থ জীবনবোধের উজ্জীবন, খেলাধূলার গুরুত্ব সেখানে সর্বাধিক। তাই বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ছাত্ররা যোগব্যায়াম ও বিভিন্ন ক্রীড়ায় পারদর্শী হয়ে ওঠে। বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দেয়। প্রতি বছর আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর যোগদান বাধ্যতামূলক। মানুষের শৈশবই হল নিয়মানুশীলনের এক মাহেন্দ্রক্ষণ। তাই বিদ্যালয়ে কঠোর ভাবে নিয়মানুশীলতা পালন করা হয়। পরবর্তী জীবনে ছাত্ররাই দায়িত্বশীল নাগরিক। তাই ছাত্র জীবনের কাছে আজও এই নিয়মানুশীলন এক মহৎ কর্তব্য। শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সমবেত প্রচেষ্টায় ছাত্র-ছাত্রীরা মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেখাতে পারে তাদের মেধার প্রকাশ।

আমার চোখে

শৌনক মুখোপাধ্যায়
ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল আমি মাধ্যমিক পর্ষদের অনুমোদিত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ব। প্রথমে আমি বাংলা মিডিয়াম স্কুলেই পড়াশোনা শুরু করি। এর পর দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে আমি এলিট কো-এড-এ পড়ার সুযোগ পাই। বাংলা মিডিয়াম স্কুল থেকে আসার ফলে প্রথম প্রথম আমার কিছু অসুবিধা হত। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্তরিক সহায়তায় আমার সেই অসুবিধা কিছু দিনের মধ্যে দূর হয়ে যায়। আমাদের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে পঠন-পাঠনের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় তার জন্য মনেপ্রাণে চেষ্টা করেন। নিয়মশৃঙ্খলার প্রতি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সদা সতর্ক দৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের চরিত্র গঠনে এবং জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্য সমান ভাবে পূর্ণতা পায়। স্কুলে শরীরচর্চা তথা খেলাধূলা এবং যোগব্যায়ামের সুযোগ-সুবিধা আছে। প্রতি বছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.