বঙ্কিম সেতুতে বসতে ফের হকার-বিক্ষোভ
ঙ্কিম সেতুতে তাঁদের বসতে দেয়নি পুলিশ। কারণ, যানবাহন চলাচলে বাধা পড়ছিল। ভোগান্তি হচ্ছিল নিত্যযাত্রীদের। সেই উচ্ছেদের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে কলকাতার অফিসপাড়ায় বিক্ষোভ দেখিয়ে গাড়ি চলাচল কার্যত বন্ধ করে দেন বঙ্কিম সেতুর কিছু ব্যবসায়ী।
এ নিয়ে পরপর তিনটি মঙ্গলবার কলকাতায় বিক্ষোভ দেখাতে এলেন ওই ব্যবসায়ীদের একাংশ। গত দু’সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে নিজেদের দাবি জানাতে গেলেও, এ দিন তাঁদের গন্তব্য ছিল মহাকরণ। ব্রেবোর্ন রোড দিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময়ে পুলিশ তাঁদের আটকায়। রাস্তা জুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ফলে অফিসের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তায় যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এর পরে বিক্ষোভকারীদের ছ’জন প্রতিনিধিকে মহাকরণে শ্রমমন্ত্রীর দফতর থেকে ডেকে পাঠানো হয়। বেলা ১১টায় তাঁদের নিয়ে আলোচনায় বসেন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। কিন্তু সমাধানসূত্র বেরোয়নি। মন্ত্রী তাঁদের জানিয়ে দেন, বঙ্কিম সেতুতে কোনও ভাবেই বসতে দেওয়া হবে না। গত মঙ্গলবারেও ওই ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা কথা বলেছিলেন শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে। সে দিনও বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পুনর্বাসন কোথায় হবে, সেই প্রশ্নে এ দিনের বৈঠকও ভেস্তে যায়। শ্রমমন্ত্রী বলেন, “পুনর্বাসনের জন্য বিকল্প জায়গার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওঁরা রাজি হননি।”
হাওড়া প্রশাসন অবশ্য এ দিনের বিক্ষোভকারীদের মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, মঙ্গলাহাটের হকার না হওয়া সত্ত্বেও ওই ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ১৫ দিনে দু’বার তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ রায় ও পূর্ণেন্দু বসু। হাওড়ার পুলিশকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক হয় বিক্ষোভকারীদের। কিন্তু সরকারের দেওয়া পুনর্বাসনের প্রস্তাব মানেননি তাঁরা। তাই জট খোলেনি। এ দিনও মহাকরণে হকারদের প্রতিনিধিরা মন্ত্রীর কাছে দাবি করেন, আগের জায়গাতেই তাঁদের বসতে দিতে হবে। পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, “বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের কাছে বিকল্প জায়গায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হলে তাঁরা রাজি হবেন বলে ব্যবসায়ীদের কয়েক জন জানিয়েছিলেন। সেই মতো ওঁদের প্রতিনিধিদের এ দিন ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আলোচনায় জানা গিয়েছে, ওঁরা পুরনো জায়গায় ফিরতে চাইছেন। কিন্তু সেখানে তাঁদের কোনও মতেই বসতে দেওয়া হবে না। এটাই রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.