|
|
|
|
ফের অনশনের হুমকি হজারের |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
জনলোকপাল বিল পাশ না হলে ফের অনশনে বসার হুমকি দিলেন অণ্ণা হজারে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ওই বিল পাশ না হলে অধিবেশনের শেষ দিন থেকে তিনি অনশনে বসবেন বলে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে একটি চিঠিতে জানিয়েছেন অণ্ণা।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কৌশল পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন অণ্ণা। হরিয়ানার হিসারে উপ-নির্বাচনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন তাঁর অনুগামীরা। কিন্তু, পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা কোনও দলের পক্ষে প্রচার করবেন না বলে জানিয়েছেন অণ্ণা। ওই নির্বাচনগুলিতে মানুষ যাতে ‘দুর্নীতিপরায়ণ, লুঠেরা আর
গুন্ডাদের’ ভোট না দেয় সে জন্য প্রচার চালাবে অণ্ণা শিবির। মানুষকে লোকপাল বিলের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতেও প্রচার চালাবেন তাঁরা। অণ্ণার দাবি, কংগ্রেস ও সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের কথাবার্তায় লোকপাল বিল পাশ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
অণ্ণার বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস ও সরকার। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অম্বিকা সোনি বলেছেন, “ঘন ঘন উনি এমন কেন হুমকি দিচ্ছেন বোধগম্য হচ্ছে না। লোকপাল বিল নিয়ে অণ্ণা হজারে ও তাঁর সহযোগীদের সব দাবি সরকার মেনে নিয়েছে। সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে লোকপাল বিল নিয়ে স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট পেশ করার পর তা পাশ করাতে সচেষ্ট হবে সরকার। এর পরেও অনশনের হুমকির আদৌ প্রয়োজন রয়েছে কি?” এক ধাপ এগিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেন, “টিম অণ্ণার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। ওঁদের যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে তা হলে স্পষ্ট করুন। রাজনীতির ময়দানে আসুন। তার পর সাধারণ মানুষ যাঁদের পছন্দ, তাঁদের বেছে নেবেন।”
পরে ঘরোয়া আলোচনায় কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, হয়তো অণ্ণা শিবিরের অন্দরমহলের টানাপোড়েন চাপা দিতে এ ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে অণ্ণা ঘন ঘন অনশনের হুমকি দিলে অচিরে তা গুরুত্ব হারাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে কংগ্রেস তথা সরকারেরই লাভ। |
|
|
|
|
|