শীঘ্রই ঘোষণা কেন্দ্রের
সময়ে পরিষেবা নিশ্চিত করতে নাগরিক সনদ
ণ্ণা-বিতর্ক সামলাতেই বাদল অধিবেশনের দীর্ঘ সময় কেটে গিয়েছে। শীতকালীন অধিবেশনেও যাতে তার পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য দুর্নীতি দমনে একের পর এক পদক্ষেপ দ্রুত ঘোষণা করে দিতে চাইছে কেন্দ্র। সরকারি ক্রয়নীতিতে স্বচ্ছতা আনতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজই নয়া ক্রয়নীতি অনুমোদন করা হয়েছে। সরকারের শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, কাল-পরশুর মধ্যে নাগরিক সনদও ঘোষণা করে দিতে পারে সরকার।
সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, সরকারের বিভিন্ন দফতরের আমলা এবং নীচের স্তরের কর্মচারীরা যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিষেবা দেন, তা সুনিশ্চিত করাই হবে নাগরিক সনদের প্রধান লক্ষ্য। এর আওতায় শিল্প-বাণিজ্য, কৃষি, খাদ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য, নগরোন্নয়ন, শিক্ষা-সহ সরকারের কমবেশি সব দফতরই থাকবে। কোন পরিষেবা কত সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে, তার উল্লেখ থাকবে সনদে। সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিষেবা দিতে না পারলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর জরিমানা হবে বা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। নাগরিক সনদ যথাযথ পালন করা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রতিটি সরকারি দফতরে নির্দিষ্ট বিভাগ থাকবে। যেখানে অভিযোগ দায়ের করা যাবে। নাগরিক সনদের বিষয়টিকে আইনি সিলমোহর দিতে সংসদে ‘গ্রিভ্যান্স রিড্রেসাল’ বিলও পেশ করবে সরকার।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক শীর্ষ সারির মন্ত্রী জানান, নিচু স্তরের আমলা ও সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি নিয়ে মানুষের অসন্তোষ দীর্ঘ দিনের। মূলত সেই কারণেই অণ্ণা হজারের আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বহু মানুষ সামিল হয়েছেন। কারণ, কাউকে হয়তো রেশন কার্ড পেতে মাসের পর মাস হত্যে দিতে হয়েছে, কেউ বা পাসপোর্ট পেতে মোটা টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন। নাগরিক সনদ ঘোষণা করা হলে এই দুর্নীতির পথ বন্ধ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
গোড়ায় অণ্ণা হজারে ও তাঁর সহযোগীদের দাবি ছিল, নাগরিক সনদকে লোকপাল বিলের আওতায় রাখা হোক। কিন্তু সরকার তা মানতে রাজি হয়নি। সরকারের বক্তব্য ছিল, নাগরিক সনদের বিষয়টি লোকপালের আওতায় রাখলে অযথা জটিলতা বাড়বে। সে ক্ষেত্রে কারও সরকারি পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ থাকলে, তা মেটাতে বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই নাগরিক সনদ এবং সেই সংক্রান্ত আইন পৃথক রাখাই ভাল। তবে সরকারের শীর্ষ নেতাদের কাছে এ-ও স্পষ্ট ছিল যে নাগরিক সনদ ঘোষণায় দেরি হলে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন সংসদের বাইরে ফের গোল পাকাতে পারে অণ্ণা শিবির। আর তাই সরকার তথা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। সেই সঙ্গে এই বার্তাও দিতে চাইছেন যে দুর্নীতি দমনের প্রশ্নে অণ্ণা হজারের তুলনায় সরকার কম আন্তরিক নয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.