|
|
|
|
তথ্য দিয়েছে বিদেশি ব্যাঙ্ক |
কালো টাকা মামলায় নোটিস অভিযুক্তদের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
কালো টাকা মামলায় অভিযুক্তদের নোটিস পাঠানো শুরু করল আয়কর দফতর। বিদেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে এই সব নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। যাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে, তাঁদের নাম এখনই প্রকাশ করা হবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পরই নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
কালো টাকা মামলায় অভিযুক্তদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ভাবে নোটিস পাঠিয়েছেন ডিরেক্টরেট অব ক্রিমিন্যাল ইনভেস্টিগেশন (ডিসিআই)। দেশে তো বটেই, বিদেশেরও বিভিন্ন প্রান্তে নোটিস পাঠানো হয়েছে। সুইস ব্যাঙ্ক-সহ বেশ কয়েকটি বিদেশি ব্যাঙ্ক ও সংস্থার থেকে প্রাপ্ত তথ্য এই ব্যাপারে কাজে লাগানো হয়েছে।
কালো টাকা মামলায় যাদের নোটিস পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে কি শিল্পপতি ও সাংসদদের নামও রয়েছে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরই আমরা অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করতে পারব। তার আগে নয়।”
প্রণববাবু জানিয়েছেন কয়েকটি ফরাসি ব্যাঙ্ক থেকে কালো টাকা মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। ৬৯ জনের সন্ধান মিলেছে, যাঁরা কিছুটা কর দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু বিপুল পরিমাণ কালো টাকাও জমা করেছেন। কর দিয়েছেন প্রায় ৩০ কোটি টাকা। পাশাপাশি জমা হওয়া কালো টাকার পরিমাণ ৩৯৭ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা।
বিদেশের ব্যাঙ্কে ৯৯০০টি ক্ষেত্রে ভারতীয়দের তরফে কালো টাকা জমা হওয়ার তথ্য রয়েছে অর্থ মন্ত্রকের কাছে। জেনিভার এইচএসবিসি ব্যাঙ্কে ৭৮২টি ভারতীয় অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে আয়কর দফতর। সেগুলিতে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা জমা রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।
তবে যাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁদের নামের তালিকা এখনও সরকারি ভাবে প্রকাশ করেনি সুইস সরকার। ফরাসি সরকার অবশ্য
তাদের একটি নামের তালিকা ইতিমধ্যেই আয়কর দফতরকে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। তাতে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আর্থিক
লেনদেনের হিসেব দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে অভিযোগ খতিয়ে দেখা শুরু করা হবে। তদন্ত চালানো হবে আয়কর আইনের আওতায়। |
|
|
|
|
|