|
|
|
|
দমদমের তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনায় ধৃত দুই |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
দমদমের তৃণমূলকর্মী মনোজ সাহানির খুনের ঘটনায় ওই এলাকার দুই দুষ্কৃতীকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হল। ধৃতদের নাম চন্দন সরকার ও রাজ গোস্বামী। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা জেরায় স্বীকার করেছে, ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে মনোজকে মারা হয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “চন্দনকে সোদপুর থেকে ও রাজকে দমদমের একটি আবাসন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে গাড়িতে করে দুষ্কৃতীরা মনোজকে খুন করতে আসে, সেটিও সোদপুর থেকে আটক করা হয়েছে।” পুলিশ জানতে পেরেছে, ব্যবসার এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই এই খুন হয়েছে।
ধৃতেরা দমদম এলাকার তোলাবাজ বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভাড়াটে খুনির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় চন্দন ও রাজ স্বীকার করেছে, ঘটনার দিন গাড়ি চালাচ্ছিল চন্দন। রাজ ও ভাড়াটে খুনি ছিল গাড়িতে। রাজই মনোজকে চিনিয়ে দেয়। গত রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ দমদমের যশোহর রোডের এইচ এম ভি বাসস্ট্যান্ডের কাছে দলীয় কার্যালয়ে বসে টিভি দেখছিলেন তৃণমূলকর্মী মনোজ। তখন একটি গাড়ি করে এসে ওই কার্যালয়ে ঢুকে দুই দুষ্কৃতী মনোজকে গুলি করে খুন করে। এর পরে গাড়িতে চেপে পালিয়ে যায় তারা। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মূলত এয়ারপোর্ট অঞ্চলে বাড়ি তৈরির সামগ্রী সরবরাহ নিয়েই চলছিল এলাকা দখলের লড়াই।
চন্দন ও রাজকে জেরা করে জানা গিয়েছে, এই খুনের পিছনে পরিকল্পনা রয়েছে দমদম এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী শঙ্করের। সে ওই এলাকায় ল্যাংরা শঙ্কর নামে পরিচিত। সে এখন দমদম সংশোধানাগারে বন্দি। শঙ্কর ওই এলাকায় আগে ইট-বালি সরবরাহের কাজ করত। ইদানীং ওই এলাকায় নির্মাণসামগ্রী সরবরাহের কাজ দাপটের সঙ্গে করছিলেন মনোজ। কিন্তু সেখানে মনোজের কাজ করাকে শঙ্কর ভাল ভাবে নেয়নি বলেই দাবি পুলিশের। এলাকায় ফের দখল নিতে শঙ্কর জেলে বসেই মনোজকে খুনের পরিকল্পনা করে। তাকে মদত দেয় রাজ ও চন্দন। একটি সাদা অ্যাম্বাসাডর সোদপুর থেকে আটক করা হয়েছে। সেটিতে করেই দুষ্কৃতীরা মনোজকে খুন করতে এসেছিল। খুনের দিন সাদা অ্যাম্বাসাডরে করেই দুষ্কৃতীরা আসে। |
|
|
|
|
|