|
|
|
|
ড্রেজার-সঙ্কটে বিপন্ন বন্দর কেন্দ্রের দ্বারস্থ |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
হুগলি নদীতে যথেষ্ট গভীরতার অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বহু জাহাজই পুরোপুরি পণ্যে ভর্তি হয়ে কলকাতা বন্দরে আসতে পারছে না। প্রয়োজনীয় নাব্যতা না-থাকায় ক্ষমতার তুলনায় অনেক কম জিনিসপত্র নিয়ে তাদের ঢুকতে হচ্ছে বন্দরে। সেই নাব্যতা নতুন করে সঙ্কটের মুখোমুখি। এ বারের সঙ্কটের কারণ ড্রেজারের আকাল।
বন্দর সূত্রের খবর, হুগলি নদীর নাব্যতা এই মুহূর্তে এমন একটা জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে, নিয়মিত পলি তোলার জন্য অন্তত ছ’টি ড্রেজারের প্রয়োজন। অথচ এখন রয়েছে মাত্র তিনটি। গত ১৫ দিন ধরে প্রয়োজনের তুলনায় ওই অর্ধেক সংখ্যক ড্রেজার নিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। তাতে যথেষ্ট পলি তোলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, অবিলম্বে জাহাজ মন্ত্রকের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কলকাতা বন্দর-কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের চেয়ারম্যান মদনলাল মীনা মঙ্গলবার বলেন, “আমরা জাহাজ মন্ত্রককে বলেছি, “ওরা বিদেশ থেকে অবিলম্বে অন্তত দু’টো ড্রেজার ভাড়া করে আনুক। নইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না।” পরিস্থিতি যে খুবই উদ্বেগজনক, বন্দর-কর্তৃপক্ষ তা জাহাজ মন্ত্রককে জানিয়েছেন।
২০০৮ সালে কলকাতা বন্দরের ড্রেজার-সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল মাত্র দু’টিতে। তখন হুগলি নদীর নাব্যতা নেমে গিয়েছিল সাড়ে সাত মিটারে। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি আরও খারাপ। গত অক্টোবরে গড় নাব্যতা ৭.৩ মিটার হয়ে গিয়েছে। তার উপরে ছ’টি ড্রেজারের বদলে চালু আছে মাত্র তিনটি। এর ফলে নাব্যতা আরও কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বন্দরকর্তারা। তাঁরা বলছেন, পরিস্থিতির সামাল দিতে হলে অন্তত ছ’টি ড্রেজারকে সব সময় পলি তোলার কাজ করে যেতে হবে।
কিন্তু ড্রেজারের সমস্যা হঠাৎ এতটা প্রকট হল কী ভাবে? কলকাতা বন্দর সূত্রে বলা হয়, এত দিন ছ’টি ড্রেজার কাজ করছিল। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যায় তিনটি ড্রেজার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। পলি তোলার কাজ করছে তিনটি মাত্র ড্রেজার। একটি ড্রেজারের প্রপেলার মেরামত হচ্ছে। অন্য একটি ড্রেজারেও মেরামতির কাজ চলছে। আর একটি ড্রেজার মাস দুয়েক হল অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। সেটি কবে ফের কাজ শুরু করতে পারবে, বন্দর-কর্তৃপক্ষও তা বলতে পারছেন না। |
|
|
|
|
|