|
|
|
|
এক সপ্তাহে ওঠার নির্দেশ মন্ত্রীর |
খাদ্য ভবনে ‘অবাধে’ বাস ৮৩টি পরিবারের |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
রাজ্য সরকারি দফতরে বহাল তবিয়তে বসবাস করে যাচ্ছেন কয়েকশো মানুষ। ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে খাদ্য ভবনে রান্নাবান্না, থাকা-খাওয়া, সংসার সবই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। বহু বছর ধরে এমনটা চলে এলেও কারও কোনও হেলদোল ছিল না। এত দিন বাদে তা নজরে এল রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদ্যোগে। মঙ্গলবার তাঁর নির্দেশে কলকাতা পুলিশের একটি দল খাদ্য ভবনে গিয়ে বেআইনি ভাবে বসবাসকারী ৮৩টি পরিবারের প্রায় ৩০০ জনকে চিহ্নিত করে, যাঁরা কেউই ওই দফতরের কর্মী নন। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই পরিবারগুলিকে উঠে যেতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। অন্যথায় পুলিশ দিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে কী ভাবে ওই দখলদারেরা এত দিন ধরে বসবাস করলেন, এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। খাদ্য ভবন চত্বরে দু’টি বড় বেআইনি ক্যান্টিন চলছে বলেও অভিযোগ। |
|
খাদ্য ভবন চত্বরে অবৈধ বাসিন্দাদের আস্তানা। মঙ্গলবার। ছবি: দেবাশিস রায়। |
খাদ্যমন্ত্রী জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই এই গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে বেআইনি ভাবে বসবাস করছিলেন ওই তিনশো জন। এঁদের কেউই প্রায় খাদ্য দফতরের কর্মী নন বলে তাঁর দাবি। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো কেউ কেউ এই ভবনে দেখভালের কাজ করতেন। তাঁদের মধ্যে কেউ মারা গিয়েছেন, কেউ আবার অবসর নিয়েছেন। তাঁদের পরিবারও কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছে। কিন্তু যাওয়ার আগে সম্ভবত তারাই বা অন্য কোনও চক্র সেই সব কেয়ারটেকারদের বাড়িতে ভাড়া বসিয়ে দিয়েছে। তার পর থেকে সেখানেই বেআইনি ভাবে বসবাস করে আসছেন ওই ভাড়াটেরা।
জ্যোতিপ্রিয়বাবু জানিয়েছেন, অবিলম্বে দখলদারদের সরিয়ে দিয়ে সেই সব জায়গা সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাকে ভাড়ায় দেওয়ার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, “শুধু বেআইনি ভাবে বসবাসই নয়, সারা ভবনে বেশ কয়েকটি ক্যান্টিনও চলছে। তারা নিয়মিত ভাবে গ্যাসে রান্না করছে, কেরোসিন স্টোভ জ্বালাচ্ছে বিপজ্জনক ভাবে। এই কাজের জন্য কোনও দিনই তারা খাদ্য দফতরের অনুমতি নেয়নি। ওই ব্যবসাদারদের বলে দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে ক্যান্টিন গুটিয়ে নিয়ে চলে যেতে হবে।” তিনি জানান, ওই দখলদারদের অবিলম্বে না সরালে খাদ্য দফতরে যে কোনও সময়ে বড় ধরনের বিপদ ঘটে যেতে পারে। কোনও ভাবে আগুন লাগলে গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।
পাশাপাশি, দিনে-রাতে খাদ্য ভবনে বহু গাড়ি বেআইনি ভাবে পার্ক করে রাখা হয়। এতেও যে কোনও সময় বড় বিপদের আশঙ্কা থাকে। খাদ্য দফতরের কর্মীরাও জানিয়েছেন, রাতে নিউ মার্কেট এবং লাগোয়া এলাকার ফুটপাথের দোকানের অনেক মালপত্র খাদ্য ভবনে রাখা হয়। সকালে অফিস চালু হওয়ার আগেই সেই সব মালপত্র আবার সরিয়ে নেওয়া হয়। |
|
|
|
|
|