|
|
|
|
আকাশপথে গঙ্গা পারাপারে রোপওয়ের ভাবনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পর্যটকদের ‘পাখির চোখে’ নগরদর্শনের সুযোগ করে দিতে ‘কলকাতা আই’ গড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে আগেই। এ বার আকাশপাড়ির অভিজ্ঞতার পালা। কারণ, কলকাতা ও হাওড়া শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে চাঁদপাল ঘাটের কাছে মিলেনিয়াম পার্ক থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত গঙ্গার উপর দিয়ে রোপওয়ে চালানোর পরিকল্পনা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মূলত পর্যটক টানতেই এই প্রকল্প বলে মঙ্গলবার মহাকরণে জানিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। |
|
কেমন হতে পারে রোপওয়ে? শিল্পীর চোখে। |
গঙ্গা ও তার দুই পাড়ের সৌন্দর্যায়ন নিয়ে এ দিন মহাকরণে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হাজির ছিলেন পুরমন্ত্রী, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, পুরসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কেএমডিএ-র চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার বিবেক ভরদ্বাজ প্রমুখ। এই বৈঠকেই রোপওয়ে তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গঙ্গার দু’পাশে সৌন্দর্যায়নের জন্য কতটা জমি পাওয়া যাবে, তা জানতে এ দিন কেএমডিএ-কে সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। দেড় মাসের মধ্যেই তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। গঙ্গার উপর দিয়ে রোপওয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দুই পাড়ের কোথায় মূল স্টেশনগুলি করা হবে, সেখানকার জমির অবস্থান প্রভৃতিও কেএমডিএ-র ওই সমীক্ষার অংশ হবে। এর সঙ্গেই সৌন্দর্যায়ন ও সবুজায়নের কাজ কী ভাবে করা হবে, তার সবিস্তার প্রকল্প-রিপোর্টও তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেবেন বলে পুরমন্ত্রী জানান। রোপওয়ের জন্য কয়েকটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার কথাও বলা হয় এ দিনের বৈঠকে।
ইতিমধ্যেই গঙ্গার পাড়ে বাবুঘাট থেকে হাওড়া সেতু পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশে পায়ে চলার পথ তৈরি, গাছ লাগানো ইত্যাদির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নদীর অন্য পাড়ে হাওড়া স্টেশন থেকে বটানিক্যাল গার্ডেনের কাছাকাছি পর্যন্ত সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। এ দিনের বৈঠকে এ সব কাজের গতি সম্পর্কে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সৌন্দর্যায়নের জন্য বাবুঘাট থেকে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছে।
দিন কয়েক আগেই মিলেনিয়াম পার্কে এক অনুষ্ঠানে বাবুঘাট থেকে হাওড়া সেতু পর্যন্ত ওই পায়ে-চলা পথ এবং সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত সেই কাজ শেষ করার নির্দেশও দেন তিনি।
এ দিনের বৈঠকে মেরিনা জেটি মেরামতির কাজ দ্রুত করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। কথাবার্তা হয়েছে মেরিনা জেটি থেকে দিঘা পর্যন্ত স্টিমার চালানো নিয়েও। ফিরহাদ জানিয়েছেন, দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই ওই এলাকায় স্পিড বোট এবং স্পিড বাইক চালানোর মতো বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই সব প্রকল্প চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে কোনও বিশেষজ্ঞ সংস্থার হাতে। রাজ্য সরকার এই সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে বলে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন। পাশাপাশি, ‘কলকাতা আই’ গড়তে ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশের বহু সংস্থা দরপত্র জমা দিয়েছে বলেও জানান তিনি। |
|
|
|
|
|