বাঁকুড়ার মেজিয়ায় এসপিএস গোষ্ঠীর প্রস্তাবিত ইস্পাত প্রকল্প এ বার সবুজ সঙ্কেত দেখার মুখে।
ছ’মাস আগে ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প সংক্রান্ত প্রস্তাব রাজ্যের কাছে পেশ করে গোষ্ঠী। সংস্থা সূত্রে দাবি, বছরে ৫ লক্ষ টন উৎপাদন ক্ষমতার প্রকল্পটির জন্য ২০০ একর জমি কেনে তারা। কিন্তু জমির ঊর্ধ্বসীমা আইনের ফাঁসে তার অনুমোদন আটকে রয়েছে।
প্রকল্প রূপায়ণে বাধা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বিপিন ভোরা। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে প্রকল্পটি দিনের আলো দেখতে চলেছে বলে ইঙ্গিত।
সম্প্রতি নিরপেক্ষ ডিরেক্টর হিসাবে এস পিএসে যোগ দিয়েছেন ভারতের ক্রিকেট তারকা রবি শাস্ত্রী। বিপিনবাবু রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই তিনি মেজিয়া প্রকল্পের সমস্যার কথা জানান। বিপিনবাবুর দাবি, তার পরই এ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী, সাহায্য করেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। পার্থবাবু বলেন, “কারখানা গড়তে সত্যিই ওই পরিমাণ জমি লাগবে কি না, তা খতিয়ে দেখেই প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হবে।” প্রকল্প গড়তে মোট জমি লাগবে ৩৮০ একর। নতুন সরকারের নীতি মেনে ২০০ একর নিজেরাই কিনেছে এসপিএস। আরও ১০০ একর চিহ্নিত করা হয়েছে। বিপিনবাবু বলেন, “ওই ২০০ একরের জন্য ঊর্ধ্বসীমা আইনে অনুমোদন পেতে ছ’মাস আগে শিল্পোন্নয়ন নিগমে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনও সায় মেলেনি।”
প্রসঙ্গত, ঊর্ধ্বসীমা আইন অনুযায়ী কেউ ২৫ একরের বেশি জমি রাখতে পারে না। কারখানা গড়তে তার বেশি জমি কিনলে তা প্রথমে সরকারের কাছে খাস করে দিতে হয়। সরকার সেই জমি শিল্পপতিকে ফিরিয়ে দেয়। প্রকল্প অনুমোদনে শিল্প-নিগমের বিশেষ কমিটি আছে। কিন্তু বেশ কয়েক মাস কমিটির বৈঠকই হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ১৫ নভেম্বর বৈঠক হবে। সেখানে তাঁদের প্রস্তাবটিও বিবেচিত হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।
সংস্থার দাবি, পিছিয়ে পড়া জেলা বাঁকুড়ার এই প্রকল্পে সরাসরি ৪ হাজার কর্মসংস্থান হবে। উৎপাদিত হবে ইস্পাত তৈরির ‘পেলেট’। সঙ্গে গড়া হবে ১১০ মেগাওয়াটের নিজস্ব বিদ্যুৎ প্রকল্পও।
ভোরা জানান, ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই কয়েকটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনাও চূড়ান্ত হয়েছে। |