শপিং মল থেকে কর্মী ‘উৎখাত’ |
শপিং মলের পার্কিং লট থেকে পাঁচ কর্মীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বর্ধমানের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে বর্ধমান থানায় এই অভিযোগ জানানো হয়। আবদুল রব নামে ওই নেতা অবশ্য প্রোমোটারের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন। পার্কিং লটের সুপারভাইজার শেখ আফজল হোসেনের অভিযোগ, “রবিবার সকালে ওই নেতা কয়েক জনকে নিয়ে এসে আমাদের বলে, এই পার্কিং লট তাঁরা দখল করবেন। ১ নভেম্বর থেকে আমরা যেন কাজে না আসি।” কর্মীদের পাল্টা যুক্তি ছিল, শপিং মলের প্রোমোটার তাঁদের নিয়োগ করেছেন। একমাত্র তিনিই কাজ থেকে সরাতে পারেন। এ কথা শুনে ওই নেতা হুমকি দিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ। ওই পাঁচ কর্মীর দাবি, শপিং মল তৈরির জন্য দোকান উচ্ছেদের পরে ‘ক্ষতিপূরণ’ হিসেবেই তাঁদের কাজ দেওয়া হয়েছিল। আবদুল রবের দাবি, “সিপিএম নেতাদের মদতে ওই পাঁচ কর্মী কাজ করছিল। সেখানে এলাকার আরও পাঁচ জনকে নিয়োগ করতে বলা হয়। কিন্তু তাতে ওই নেতারা কর্ণপাত করেননি। পরে এলাকার মানুষই পাড়ার প্রায় ১২ জনকে সেখানে কাজে যুক্ত করেছেন। প্রোমোটারের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত।” চেষ্টা করেও প্রোমোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণও তৃণমূল নেতা দিতে পারেননি। তবে সিপিএমের স্থানীয় নেতারা এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি। বর্ধমান থানার আইসি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে প্রোমোটার কাউকে নিয়োগ করতে পারেন, ছাঁটাইও করতে পারেন। এতে পুলিশের মাথা ঘামানোর কিছু নেই। তবে আমরা প্রোমোটারকে বলে দিয়েছি, পার্কিং জোন নিয়ে অশান্তি হলে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করব।”
|
সম্প্রতি ‘উন্নয়ন কালনা’ শীর্ষক একটি আলোচনাচক্র হল কালনা জয়েন্ট ফোরাম অফ রিপোর্টার্স-এর উদ্যোগে। ছিলেন মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন দেবনাথ প্রমুখ। সভায় মহকুমাশাসক বলেন, “মহকুমায় সব্জির জন্য হিমঘর, তাঁত, পর্যটন-সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রয়োজন।” বিধায়ক স্বপনবাবু জানান, কালনার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলির দিকে বাইরের মানুষের নজর কাড়ার জন্য উদ্যোগ প্রয়োজন। বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজের উদ্যোগ হয়েছে বলে জানানো হয়। |