কাটোয়ার পাঁজোয়া, কুরচি, মুলটি গ্রামের পরে এ বার কালনার দক্ষিণ শিকারপুর। বাড়িতে বিদ্যুৎ না পৌঁছলেও এসে গিয়েছে বিল। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ কালনা ১ ব্লকের বাঘনাপাড়া পঞ্চায়েতে ওই গ্রামের বাসিন্দারা।
দক্ষিণ শিকারপুর গ্রামে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী প্রায় একশো পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি জানাচ্ছিলেন। বছরখানেক আগে ওই পরিবারগুলিকে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু হয়। ঠিক হয়, রাজীব জ্যোতি বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে পরিবারগুলিকে সংযোগ দেওয়া হবে। বাসিন্দারা জানান, প্রথমে খুঁটি পোঁতার কাজ হয়। তার পরে তার টাঙানো ও ট্রান্সফর্মার বসানোর কাজ হয়। তার পরে বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হয়নি। |
হঠাৎ মাস তিনেক আগে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে জানান, যে ১০ কেভি ট্রান্সফর্মারটি বসানো হয়েছিল সেটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে শীঘ্রই নতুন ট্রান্সফর্মার দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়ে সেটি খুলে নিয়ে যান তাঁরা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, নতুন ট্রান্সফর্মার এখনও বসানো হয়নি। ইতিমধ্যে মাসখানেক আগে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে গ্রামের মনোয়ারা মল্লিক, সাহাবত মল্লিক, আজাহার মল্লিক, রসিদ মল্লিক, সওকত মল্লিক-সহ বেশ কয়েক জনের বাড়িতে বিল তিন মাসের এককালীন বিল পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা খোকন মল্লিক জানান, এমনকী হাকিম শেখ নামে এক বাসিন্দা বিদ্যুতের বিল মেটাননি, এই অভিযোগে তাঁর বাড়িতে সংযোগ ছিন্ন করতে চলে আসেন সংস্থার লোকজন। গ্রামে বিদ্যুতই আসেনি শুনে তাঁরা ফিরে যান। খোকন মল্লিক বলেন, “গ্রামে বিদ্যুৎ না পোঁছনো সত্ত্বেও বিল আসার বিষয়টি স্থানীয় স্টেশন সুপারকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।” আর এক বাসিন্দা আসফার মল্লিকের দাবি, “বিদ্যুৎ দফতরের তরফে প্রথমে যে ট্রান্সফর্মার দিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা কম ক্ষমতাসম্পন্ন। ফলে বাড়িতে সংযোগ দেওয়ার আগেই সেটি বিকল হয়ে যায়।”
বিদ্যুৎ যাওয়ার আগেই বাসিন্দাদের বাড়িতে বিল পৌঁছনোর ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন বিদ্যুৎ দফতরের কালনা শাখার ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার অনিন্দ্যকিশোর মান্না। তিনি বলেন, “ঘটনার বিষয়ে স্টেশন সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই গ্রামে আগের থেকে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফর্মার পাঠানোর চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, ভুলবশত পাঠানো বিলগুলি বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” |