সিপিএমের ‘রাজনৈতিক চাল’কে সমর্থন করার জন্য নাম না-করে প্রকাশ্যেই রাজ্য আইএনটিইউসি-র কার্যনির্বাহী সভাপতি রমেন পাণ্ডের নিন্দা করলেন সংগঠনের সভাপতি তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। শনিবার প্রদীপবাবু বলেন, “৮ নভেম্বরের জেল ভরো কর্মসূচির দাবিসনদে সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ ছিলই না। তা সত্ত্বেও রাজ্য সিপিএমের মুখপত্রে ওই মর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে সিটু অন্যায় করেছে। সেই অন্যায়কে কেউ সমর্থন করে থাকলে তিনিও অন্যায় করেছেন।”
প্রসঙ্গত, সিটু, আইএনটিইউসি-সহ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনগুলির ডাকে শ্রমিক-স্বার্থের ৯ দফা দাবিতে আগামী ৮ নভেম্বর কলকাতার রানি রাসমণি রোডে ‘জেল ভরো’ কর্মসূচি রয়েছে। রাজ্য সিপিএমের মুখপত্রে প্রকাশিত ওই কর্মসূচির বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্দোলনের অন্যতম দাবি‘পশ্চিমবঙ্গে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসের’ বিরোধিতা। অথচ, কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির সংযুক্ত দাবিসনদে ওই প্রসঙ্গ ছিল না। কিন্তু সিটুর যুক্তি, ওই বিজ্ঞাপন ছাপার আগে তারা রাজ্য আইএনটিইউসি-র নেতা রমেনবাবুর সঙ্গে আলোচনা করেছিল। রমেনবাবুও সেই আলোচনার কথা স্বীকার করেছেন। এই প্রেক্ষিতেই এ দিন প্রদীপবাবু ওই মন্তব্য করেন। ঘটনার প্রতিবাদে সিটুর সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছেন আইএনটিইউসি-র মহাসচিব কামারুজ্জামান কামার। প্রদীপবাবু জানান, রাজ্য আইএনটিইউসি এর পরেও ‘জেল ভরো’তে অংশ নেবে কিনা, তা সংগঠনের দিল্লির নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত। সে কথা রবিবার কামারুজ্জামান জানাবেন।
রাজ্যের কাছে প্রদীপবাবুর আর্জিধান ও পাটচাষিদের ফসলের সহায়ক মূল্য না পাওয়ার কারণ দেখতে তদন্ত হোক এবং ধানচাষিদের থেকে ধান সংগ্রহ করার জন্য সরকার নিজস্ব ‘এজেন্সি’ তৈরি করুক। এই আর্জি মানা না হলে আন্দোলন হবে বলেও হুমকি দেন প্রদীপবাবু। এ দিন মহম্মদ মোক্তারের নেতৃত্বে গার্ডেনরিচের অনেক শ্রমিক সিটু এবং সিপিএম ছেড়ে আইএনটিইউসি ও কংগ্রেসে যোগ দেন। এতে কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক খালেক মোল্লার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ‘ক্ষতি’ পূরণ হল বলে প্রদীপবাবুর দাবি। |