|
সরকারকে ক্রিকেটে ঘাঁটি
গাড়তে দিতে চায় না বোর্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
ইডেনের উইকেট টি-টোয়েন্টির উপযোগী কি না সেই তর্কের মতোই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ভারতীয় বোর্ড বনাম কেন্দ্রীয় সরকার চাপানউতোর নিয়ে। শনিবার বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে একপ্রস্ত ধুন্ধুমার হয়ে গেল স্পোর্টস বিল নিয়ে। স্পোর্টস বিল-এর প্রাথমিক খসড়া আগেই খারিজ করে দিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। বিলের সংশোধিত ড্রাফ্ট-ও এ দিন অগ্রাহ্য করার সিদ্ধান্ত নিলেন বোর্ড কর্তারা।
শনিবারের বৈঠকে অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও স্পোর্টস বিল-ই ছিল বোর্ড কর্তাদের প্রধান ফোকাস। তাঁদের মত, কেন্দ্রীয় সরকার ক্রিকেট বোর্ডকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেনের সংশোধিত বিলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের ২৫ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে বোর্ডের ভোটদানকারীদের সংখ্যা তিরিশের বদলে দাঁড়াবে চল্লিশ। সরকারি ভোট ১০। অর্থাৎ, বোর্ড সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে ঠিক হয়েছে, বোর্ডকে কিছুতেই সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনতে দেওয়া যায় না। এটা সরকারের পরিকল্পিত ছক, দেশের অন্যান্য ক্রীড়া সংস্থার মতো ক্রিকেটেও ঘাঁটি গেড়ে বসার। যেহেতু ক্রিকেটে প্রচার, অর্থ, জনপ্রিয়তা বেশি তাই সরকারের এখানে ঢুকে পড়ার অভিসন্ধি রয়েছে। সব সদস্যরা একমত হয়ে অরুণ জেটলি-কে দায়িত্ব দিয়েছেন বোর্ডের হয়ে সরকারের সঙ্গে লড়াই চালানোর জন্য।
দিল্লি থেকে সংবাদসংস্থার খবর, ভারতীয় বোর্ডের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিচ্ছে না কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক সিংভি জানিয়েছেন, সংশোধিত বিল নিয়ে বোর্ড নিজের মতামত জানাতেই পারে। কিন্তু বিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।
এ দিকে শনিবার বৈঠকের একটা সময় এনসিএ চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলে বলেন, ধোনিদের ম্যাচে দেশের অন্য মাঠে লোক হচ্ছে না। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে হচ্ছে। তাই ধোনিদের বেশির ভাগ ম্যাচ বেঙ্গালুরুতেই দেওয়া হলে ভাল হয়। কুম্বলের বক্তব্য শুনে বোর্ডের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কিন্তু এটা নিয়ে কেউ কোনও কথা বলেননি যে-হেতু বৈঠকের পুরো মনোযোগটাই ছিল স্পোর্টস বিলের উপর। |